বধূহত্যায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, নালিশ

এক মহিলাকে হত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি করল তাঁর পরিবারের লোকজন। সুকৃতি শীল নামে ওই মহিলা ২৪ এপ্রিল মারা গিয়েছেন। অভিযোগ, ঘটনার পর ২৩ এপ্রিল বালুরঘাট থানায় সুকৃতিদেবীর স্বামী বিষ্ণু শীল ও শ্বশুর-শাশুড়ি সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৪ ০২:০২
Share:

এক মহিলাকে হত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি করল তাঁর পরিবারের লোকজন। সুকৃতি শীল নামে ওই মহিলা ২৪ এপ্রিল মারা গিয়েছেন। অভিযোগ, ঘটনার পর ২৩ এপ্রিল বালুরঘাট থানায় সুকৃতিদেবীর স্বামী বিষ্ণু শীল ও শ্বশুর-শাশুড়ি সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছিল। তাঁর বাড়ির লোকজনের দাবি, বালুরঘাট থানার পুলিশ কিন্তু মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেয়নি। মৃত্যুর পর দিন ২৫ এপ্রিল ফের বালুরঘাট থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে সক্রিয় না হওয়ায় তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। শুক্রবার ঘটনার কথা শুনে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডিএসপিকে (সদর) অভিযোগের তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

তাঁর দিদি শিবানী শীলের দাবি, “গত ২০ এপ্রিল রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বোনকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই রাতে আমি বোনের শ্বশুরবাড়িতেই ছিলাম।”

বালুরঘাট থানা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমটার দূরে পতিরাম এলাকার ধর্মপুরের বাসিন্দা সুকৃতিরা তিন বোন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে ছোট থেকেই অনাথ আশ্রমে মানুষ। মেজবোন শিবানীদেবী বর্তমানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকেন। বালুরঘাটের মাতৃসদনে আয়ার কাজ করেন তিনি। এদিন শিবানীদেবী জানান, ২০০৬ সালে রেজিস্ট্রি করে সুকৃতির বিয়ে হয়। পণের দাবি মতো পৈতৃক বাড়ির জমি বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা নগদ সহ গয়না ও আসবাবপত্র যৌতুক দেওয়া হয় বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

শিবানিদেবীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে সুকৃতির উপর অত্যচার শুরু হয়। বিয়ের পর গত প্রায় ৮ বছরে অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানা ও পতিরাম পুলিশ ফাঁড়িতে অন্তত ৯ বার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে শিবানীদেবী জানিয়েছেন। পতিরাম ফাঁড়ি ইনচার্জ উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বধূ হত্যার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলে পলাতক তাদের ধরতে খোঁজ চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন