বরাদ্দ না পেয়ে কাজ বন্ধ, বৈঠক

ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের আর্থিক বরাদ্দ না পেয়ে উত্তরবঙ্গে বন্যাপ্রবণ অন্তত ৬টি নদীর বাঁধ তৈরি ও সংস্কারের বেশ কিছু নির্দিষ্ট প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে পড়েছে। এই কাজের তালিকা নিয়েই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ দফতরে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দল। কোন জেলায় নদী ভাঙন রোধের কত কাজ বাকি রয়েছে, কোনও প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ মেলেনি তার তালিকা তৈরি করতে এ দিন সোমবার উত্তরবঙ্গের ৬ জেলার জেলা প্রশাসন, সেচ দফতরের আধিকারিক, বিধায়ক, সংসদদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে উত্তরকন্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০২:২২
Share:

ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের আর্থিক বরাদ্দ না পেয়ে উত্তরবঙ্গে বন্যাপ্রবণ অন্তত ৬টি নদীর বাঁধ তৈরি ও সংস্কারের বেশ কিছু নির্দিষ্ট প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে পড়েছে। এই কাজের তালিকা নিয়েই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ দফতরে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দল। কোন জেলায় নদী ভাঙন রোধের কত কাজ বাকি রয়েছে, কোনও প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ মেলেনি তার তালিকা তৈরি করতে এ দিন সোমবার উত্তরবঙ্গের ৬ জেলার জেলা প্রশাসন, সেচ দফতরের আধিকারিক, বিধায়ক, সংসদদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে উত্তরকন্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। গৌতমবাবু জানিয়েছেন, এ দিন বিভিন্ন জেলা থেকে যে তালিকা জমা পড়েছে, সেগুলি একত্রিত করে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট পাঠানো হবে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদী ভাঙন রোধে প্রতি বছর ১৫৮ কোটি টাকার অর্থ সাহায্যের আশ্বাস ব্রহ্মপুত্র বোর্ড থেকে মিলেছিল বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। যদিও, গত দু’ বছর বোর্ড থেকে বরাদ্দ মেলেনি বলে অভিযোগ। বন্যাপ্রবণ তিস্তা, সঙ্কোশ, জলঢাকা, মানসাই, রায়ডাক, মহানন্দা নদীর বাঁধ তৈরি এবং সংস্কারের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ এগোনে সম্ভব হয়নি বলে এ দিনের বৈঠকে তালিকা পেশ করা হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “ব্রহ্মপুত্র বোর্ডে রাজ্যের প্রতিনিধি নেই, তাই এ বিষয়ে কোনও চাপ তৈরি করা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দিল্লিতে গিয়ে নথি সহ বিস্তারিত অভিযোগ জানানো হবে।”

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বন্যা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই প্রতিনিধি দলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় এবং ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক উদয়ন গুহও থাকবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। এ দিনের বৈঠকে ওই দুই বিধায়ককেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিধানসভা অধিবেশন চলতে থাকায়, তাঁরা বৈঠকে আসতে পারেননি বিধানসভা অধিবেশন শেষ হওয়ার পর প্রতিনিধি দল দিল্লি যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement