জল ভর্তি হলে এ ভাবেই চলছে কাজকর্ম। —নিজস্ব চিত্র।
ঘরের সামনের মেঝেতে গোড়ালি ডোবা জল। দেওয়াল থেকে পলেস্তার খসে পড়ছে। শৌচাগারের উৎকট গন্ধে দাঁড়িয়ে থাকা দায়। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের হল ঘরের এমনই অবস্থা।
জেলা পরিষদের কর্তারা হল ঘরের এমন দশার কথা অস্বীকার করেননি। সিপিএম পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি নূরজাহান বেগম বলেন, “হল ঘরটির অবস্থা খারাপ। সে জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার টেণ্ডার হয়েছে। আশা করছি সমস্যা মিটে যাবে।”
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, কম খরচে অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দিতে পোস্ট অফিস মোড় সংলগ্ন এলাকায় জেলাপরিষদের দফতর লাগোয়া হল ঘরটি ২৫ বছর আগে তৈরি হয়। কিছুদিন আগেও এক দিনের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া প্রায় দেড় হাজার টাকা নেওয়া হত। সম্প্রতি ভাড়া বাড়ানো হয়েছে বলে সভাধিপতি জানান। বিরোধী তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ভাড়া বাড়ানো হলেও নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে হল ঘরটির বেহাল দশা হয়েছে। দলের প্রদেশ সম্পাদক কল্যাণ চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, “রবিবার ওই হল ঘরে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। সামনের দিকের মেঝে জলে ভাসছে। ওই অবস্থায় দলের কর্মীরা বসতে বাধ্য হয়েছেন। সরকারি সম্পত্তির এমন অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না।” হলের আশপাশে ডাই করা বালি পাথর। রয়েছে পার্থেনিয়ামের জঙ্গল। বিজেপির জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক বলেন, “হল ঘরটির যে যত্ন নেওয়া হয় না সেটা দেখেই বোঝা যায়। অথচ কম খরচে শহরের কেন্দ্রস্থলে অনুষ্ঠান করার কত ভাল জায়গা এটা।”
জেলা পরিষদের কর্তারা অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, তৈরি করার পরে অন্তত তিনবার সংস্কারের কাজ হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত পরিচর্যার কাজ হয়। সভাধিপতির দাবি, শহরের বাসিন্দারা খুব তাড়াতাড়ি নতুন সাজে হল ঘরটিকে পাবেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের বাস্তুকার অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, “মেঝে অনেকটা নীচুতে থাকায় বৃষ্টির জল ঘরে ঢুকছে। পুজোর পরে পুরো হল ঘর সংস্কার করা হবে।”