যানজটের সমস্যা এড়াতে শিলিগুড়িতে বহুতল নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার আগে, পুরসভাকে পুলিশেরও মতামত নেওয়ার ব্যবস্থা চালুর আর্জি জানালেন পুলিশ কমিশনার। বর্তমানে শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি বহুতলের সামনে পার্কিঙের ব্যবস্থা না থাকায় শিলিগুড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকায় ব্যস্ত সময়ে যানজট লেগে থাকে বলে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের অভিজ্ঞতা। সে কারণেই ভবিষ্যতে এমন সমস্যার মোকাবিলা করতে, রবিবার পথ নিরাপত্তাহ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াদিং ভুটিয়ার উপস্থিতিতে এই আর্জি জানান পুলিশ কমিশনার। শিলিগুড়ি পুলিশের উদ্যোগে এ দিন থেকে পথ নিরাপত্তাহ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ দিন মহানন্দা সেতু লাগোয়া পানিট্যাঙ্কি ট্র্যাফিক আউট পোস্ট এলাকায় মঞ্চ বেঁধে সূচনা অনুষ্ঠান হয়েছে। তার আগে কোর্টমোড় থেকে অনুষ্ঠান মঞ্চ পর্যন্ত একটি পদযাত্রাও হয়েছে।
পুলিশ ব্যান্ড সহ সেই পদ যাত্রায় শিলিগুড়ি কমিশনারেটের তাবড় কর্তারা সহ সব থানার আইসি-ওসিরা ছিলেন। সিভিক ভলিন্টিয়ার সহ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়াকেও পদযাত্রায় রাখা হয়। অনান্যরা সকলে হাটলেও, একটি সুসজ্জিত হুডখোলা জিপে মন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার জগ মোহন এবং শিলিগুড়ি পুর কমিশনার ছিলেন। সকলে হাঁটলেও কেন তিন জন হুডখোলা জিপে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পরিদর্শনের মতো শহর পরিক্রমা করলেন তা নিয়ে পুলিশ মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও, কমিশনার পরে জানিয়েছেন, পদযাত্রাকে সাজাতেই সুসজ্জিত হুডখওলা জিপ আনা হয়েছিল। মন্ত্রী সহ অতিথিদের সৌজন্যের খাতিয়ে সেই জিপে উঠতে অনুরোধ করা হয়েছিল বলে কমিশনার দাবি করেছেন।
এ দিন বক্তৃতায় কমিশনার বলেন, “বর্তমানে অনেক বহুতলে পাকিং-এর ব্যবস্থা না থাকায় যানজটের সমস্যা হয়। পুরসভা যদি বহুতল নির্মাণের আগে আমাদের পরামর্শ চায় তবে আমরা সমীক্ষা চালিয়ে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা জানিয়ে দিতে পারি। প্রস্তাবিত বহুতল লাগোয়া এলাকায় পার্কিংএর কী ব্যবস্থা রয়েছে, বা নতুন করে পার্কিঙের সুযোগ রয়েছে কিনা তা সমীক্ষা করে জানিয়ে দিতে পারব।” সে সময়ে মঞ্চে ছিলেন মন্ত্রী গৌতমবাবু। রাজ্যের কয়েকটি পুরসভা এলাকায় এমন ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়ে, মন্ত্রীকে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জিও জানান কমিশনার। গৌতমবাবু বলেন, “শিলিগুড়ির যানজট কমাতে আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন চালিয়েছি। পুরসভা এবং পুলিশও নিজের মতো করে উদ্যোগী হয়েছে। সকলকে মিলে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে।”
তবে শহরের কোন এলাকায় তা অবশ্য উল্লেখ করেননি জগ মোহন। পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া জানিয়েছে, প্রস্তাব নিয়ে তারা আলোচনা করবেন।