ভাঙনের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে কুমারগ্রামে

প্রতি বর্ষাতেই ভাঙনের আতঙ্কে নদীর দিকে তাকিয়ে দিন কাটে ওঁদের। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সঙ্কোশ এবং রায়ডাক ১ ও ২ নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত কুমারগ্রাম ব্লকের বিস্তীর্ন এলাকার মানুষ। ভল্কা, ধন্দ্রাপাড়া, রিটার্ন পাড়া, পশ্চিম চিকলিগুড়ি, নিউল্যান্ডস চা বাগান এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩৫
Share:

কুমারগ্রামের ধন্দ্রাপাড়া এলাকায় সঙ্কোশের ভাঙন। ছবি: রাজু সাহা।

প্রতি বর্ষাতেই ভাঙনের আতঙ্কে নদীর দিকে তাকিয়ে দিন কাটে ওঁদের। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সঙ্কোশ এবং রায়ডাক ১ ও ২ নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত কুমারগ্রাম ব্লকের বিস্তীর্ন এলাকার মানুষ। ভল্কা, ধন্দ্রাপাড়া, রিটার্ন পাড়া, পশ্চিম চিকলিগুড়ি, নিউল্যান্ডস চা বাগান এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। সেচ দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, ভল্কা মৌজার নিমাই পাড়া, কাঁঠালতলা, ধন্দ্রা পাড়া ও রিটার্ন পাড়া এলাকায় ভাঙন বেশি হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাঁচটি বাড়ি, বাঁশ বাগান ও আম কাঁঠালের গাছ সহ ১২ বিঘা চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এলাকাগুলিতে অন্তত তিনশো পরিবার ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সঙ্কোশ নদীতে দ্রুত বাঁধ তৈরির দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান গৌতম দত্ত বলেন, “কুমারগ্রামের বেশ কিছু এলাকায় সঙ্কোশ ও রায়ডাক নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। টাকাও বরাদ্দ হয়েছে।

Advertisement

রায়ডাক ২ নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত পূর্ব চকচকা মৌজার বালাটারির ৯০ টি পরিবারও। নদীর পাড়ে বাঁশের ‘ঠেকা’ দেওয়া হলেও সেগুলি ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভাঙন চলতে থাকলেও, কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ আরএসপি ও বিজেপির। ধন্দ্রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এতোয়া এক্কা বলেন, “রাজনীতির তরজা চলছে, কিন্তু নদী ভাঙনে আমাদের জীবন বিপন্ন। দু’বছর আগে সংকোশ নদীর খাত পরিবর্তনের ফলে বাড়ি ঘর-সহ সাড়ে পাঁচ বিঘা চাষের জমি তলিয়ে যায়। এ বারও ফের নদী ভাঙন বাড়ির কাছে চলে এসেছে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ না হলে নদী আবার সব গিলে খাবে।” ভল্কা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ প্রধান সুবল দাস বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে কুমারগ্রাম ব্লকের ভাঙন রোধে প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন