ভোট বিধিতে থমকে আছে নিকাশি-কাজ

নির্বাচনী বিধি নিষেধের জেরে নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের কাজে হাত না দিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুর কর্তারা। প্রাক বর্ষার বিক্ষিপ্ত মাঝারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন হচ্ছে পথঘাট। বাড়ছে মশার প্রকোপও। পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি সোমবার জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৪ ০২:০৩
Share:

নির্বাচনী বিধি নিষেধের জেরে নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের কাজে হাত না দিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুর কর্তারা। প্রাক বর্ষার বিক্ষিপ্ত মাঝারি বৃষ্টিতে জলমগ্ন হচ্ছে পথঘাট। বাড়ছে মশার প্রকোপও। পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি সোমবার জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান।

Advertisement

সভাধিপতি নুরজাহান বেগম বলেন, “নির্বাচনী বিধি নিষেধের কারণে ২৮ মে পর্যন্ত নতুন কোন প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে না। তাই পঞ্চায়েতগুলি নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ করতে পারছে না। এ দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে সমস্যার খবর পাচ্ছি। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পথ খুঁজে বার করতে অনুরোধ করেছি।” সভাধিপতির আর্জি মেনে প্রশাসনের কর্তারা নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ করা যাবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) দিব্যেন্দু দাস বলেন, “যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ চলছে তা চালিয়ে যেতে বাঁধা নেই। এমনকী ঝড় বৃষ্টির মতো দুর্যোগ হলে সেখানেও কাজ করা যাবে। কিন্তু নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ করার আগে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে।”

পঞ্চায়েত কর্তারা জানিয়েছেন, প্রাক বর্ষার কাজ এপ্রিলে হয়। এ বার নির্বাচনের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ওই পরিস্থিতিতে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জটিলতা বেড়েছে। ২৮ মের মধ্যে ভারী বর্ষণ হলে জলপাইগুড়ি শহরও জলবন্দি হবে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে বর্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ বার তো পুরসভার উপ সমিতিগুলির সভা করা যায়নি। তাই চিন্তায় আছি। জানি না ভারী বৃষ্টি হলে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে?” একই উদ্বেগ ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি সুভাষ বসুর। প্রশাসনের কর্তাদের প্রস্তাবে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, নিকাশি নালা সংস্কারের জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো, সম্মতি নেওয়ার পদ্ধতি মেনে কাজ করার সময় সুযোগ মিলবে কি? তাঁর কথায়, বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত ভয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে তাই প্রশাসনের উচিত বিকল্প পথের সন্ধান করা।” ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি কৃষ্ণ বড়ুয়া বলেন, “নির্বাচন ঘোষণার আগে নালা সংস্কারের কিছু কাজ হয়েছে। দ্রুত কাজ করা দরকার। এখন কবে নির্বাচন বিধি উঠবে সেই অপেক্ষায় আছি।”

Advertisement

নির্বাচনী বিধি নিষেধ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্তাদের মধ্যেও বিভ্রান্তি প্রকট। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন নিকাশি কেন জরুরি পরিষেবার মধ্যে রাখা হয়নি? পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল সদস্য বিকাশ বসাক বলেন, “কোন কাজ করতে পারছি না। সোমবার বিডিও-র সঙ্গে দেখা করেছি। উনি জানান, নতুন কাজ করা যাবে না। কিন্তু দ্রুত নিকাশি সংস্কারের কাজ না করলে বিপাকে পড়তে হবে। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের কর্তাদের কাছে যাব।” ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান কমল দাস বলেন, “মেঘ দেখলে ভয়ে থাকি। বৃষ্টি হলেই তো ফোন আসতে শুরু করে। কিছু করতে পারছি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন