স্ত্রী মাধুরী ও তিন ছেলে মেয়েকে গ্যাংটকের স্কুলে পৌঁছে, ভোট প্রচারে দার্জিলিং রওনা হলেন ভাইচুং ভুটিয়া। মঙ্গলবার সকালে তোলা নিজস্ব চিত্র।
ক্ষেত্র আলাদা। তবে অধিনায়কোচিত স্বভাব বদলায়নি ভাইচুং ভুটিয়ার।
দেশের ফুটবল দলের অধিনায়ক থাকার সময়ে উদ্বুদ্ধ করতেন অন্য সদস্যদের। এখন তেমনই ‘ভোকাল টনিকে’ উদ্বুদ্ধ করছেন রাজনীতির ময়দানের সঙ্গীদের। মঙ্গলবার তারই সাক্ষী রইল শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। এ দিন সেখানে তৃণমূলের এক কর্মিসভায় ভাইচুং বললেন, “ফুটবল মাঠে খেলেছি ১৫ নম্বর জার্সি পরে। কিন্তু এখান থেকে জিতে ১ নম্বর জার্সি পরেই রাজনীতির জগতে থাকতে চাই। রাজনীতিতে নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বজায় রেখে চলব।” দেশের প্রাক্তন ওই ফুটবল তারকার মুখে ওই কথা শুনে তখন হাততালি দিচ্ছেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। ভাইচুং আরও বলেন, “আমি পাহাড়ে জন্মেছি। আর কাজের জায়গা বাংলা। আমাদের দল তৃণমূল শক্তিশালী দল। আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে যে পাহাড়ে জিতবই।”
শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মিসভার পরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দার্জিলিং কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়া। ছবি:বিশ্বরূপ বসাক।
ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে দলের কর্মী-সমর্থকদের এ ভাবে উদ্বুদ্ধ করতে দেখে কর্মী সভায় উপস্থিত উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিরাও খুশি। ফুটবলের মাঠের মত রাজনীতিতে ভাইচুং প্রতিপক্ষকে ট্যাকল করতে পারবেন বলে তাঁরা আশাবাদী। সুব্রতবাবু বলেন, “মাঠে ভাইচুংয়ের খেলা দেখতে ভালবাসতাম। আমার দৃঢ় বিশ্বাস পাহাড় থেকে জিতে ১ নম্বর জার্সি পরেই ভাইচুং উন্নয়ন করবেন। গৌতমবাবু বলেন, “ভাইচুং ফুটবলে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ওঁকে জেতানোর দায়িত্ব আমাদের। কর্মীদের সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
এ দিকে, পাহাড়ের দলগুলি এখনও লোকসভা ভোটে তাঁদের প্রার্থী ঘোষণা করেনি। একমাত্র মোর্চা বিজেপিকে সমর্থন করার কথা বললেও কে প্রার্থী হচ্ছেন তা ঠিক হয়নি। এই অবস্থায় আজ, বুধবার থেকে পাহাড়ে প্রচার শুরু করছেন ভাইচুং। গত ৫ মার্চ প্রার্থী হিসাবে ঘোষণার পর ভাইচুং ৬ মার্চ দার্জিলিং গিয়েছিলেন। সে দিন তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে বৈঠক করেন।
তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা জানান, ভাইচুং ম্যাল রোডে মহাকাল মন্দিরে পুজো দেবেন। তার পরেই তিনি প্রচার শুরু করে দেবেন। দার্জিলিং অতিথি নিবাসে কর্মী সভা ছাড়াও শহর জুড়ে র্যালি করবেন। তার পরে কার্শিয়াঙেও র্যালি হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানে ভাইচুংয়ের সঙ্গে থাকবেন গৌতমবাবুও। উল্লেখ্য, দিল্লিতে বিজেপি সমর্থন করার পরেই এ দিন সন্ধ্যায় দার্জিলিং ফেরার কথা বিমল গুরুঙ্গ-সহ মোর্চা নেতাদের। তার পরে ১৩ মার্চ মোর্চা নেতারা ভোট নিয়ে দলীয় বৈঠকে বসবেন।