মাধাইকালী মেলার জন্য পরিষেবা দেবে রেল

বামনহাটের মাধাই কালি মেলার দর্শনার্থীদের সুবিধের জন্য বিশেষ পরিষেবা চালু করল রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের উদ্যোগে ওই পরিষেবা চালু হয়েছে। রেল জানিয়েছে, বামনহাট-এনজেপি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বামনহাট স্টেশনে পৌঁছনোর পরে ফাঁকা কামরা নিয়ে নিউ কোচবিহার স্টেশনে ফেরত আনা হতো। কামরা বন্ধ থাকায় যাত্রীরা তাতে ওঠার সুযোগ পান না। বামনহাটে জমে ওঠা মাধাই কালি মেলার বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীরা ফাঁকা ট্রেন নিউ কোচবিহার ফিরলে তাতে উঠতে পারছিলেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০৩
Share:

বামনহাটের মাধাই কালি মেলার দর্শনার্থীদের সুবিধের জন্য বিশেষ পরিষেবা চালু করল রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের উদ্যোগে ওই পরিষেবা চালু হয়েছে। রেল জানিয়েছে, বামনহাট-এনজেপি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বামনহাট স্টেশনে পৌঁছনোর পরে ফাঁকা কামরা নিয়ে নিউ কোচবিহার স্টেশনে ফেরত আনা হতো। কামরা বন্ধ থাকায় যাত্রীরা তাতে ওঠার সুযোগ পান না। বামনহাটে জমে ওঠা মাধাই কালি মেলার বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীরা ফাঁকা ট্রেন নিউ কোচবিহার ফিরলে তাতে উঠতে পারছিলেন না। বৃহস্পতিবার সমস্যা মেটাতে স্থানীয় মানুষ আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ জানান। ওই রাত থেকেই মেলার দর্শনার্থীদের বামনহাট থেকে নিউ কোচবিহার পর্যন্ত ফেরানর পরিষেবা চালু করেছে রেল। ৩০ এপ্রিল বুধবার মেলার শেষ দিন পর্যন্ত ওই পরিষেবা মিলবে। দিনহাটার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য নিয়মিত ওই পরিষেবার পাশাপাশি দিনহাটা-মালদহ ডিএমইউ ট্রেনেও এমন সুবিধে চালুর দবি তুলে সরব হয়েছেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিভিশনাল ম্যানেজার ধীরেন্দ্র কুমার বলেন, “যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু সমস্যার জন্য রাতে ওই রুটের ট্রেনে যাত্রী নেওয়ার ঝুঁকি থাকে। বামনহাট থেকে ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকেও ফাঁকা অবস্থায় নিউ কোচবিহারে এনে রাখা হয়। মেলার দর্শনার্থীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ওই ট্রেনটিতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাত্রীদের ভিড় হলে নিয়মিত পরিষেবা চালুর কথা ভাবা যেতে পারে।”

Advertisement

রেল সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ট্রেনটি প্রতিদিন সকালে বামনহাট থেকে এনজেপি পর্যন্ত যায় বিকেলে সেটিই ফের বামনহাটের উদ্দেশে রওনা হয়। নির্ধারিত সময় রাত ১০ টা ১০ মিনিট নাগাদ প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির বামনহাটে পৌঁছনোর কথা। সেখানে যাত্রীদের নামিয়ে কামরা বন্ধ করে ফাঁকা অবস্থায় সেটি রাতে নিউ কোচবিহারে ফিরিয়ে আনা হয়। দিনহাটা মালদহ ডিএমইউ ট্রেনটিও একই ভাবে যাতায়াত করছে। সকালে ফের নিউকোচবিহার থেকে বামনহাট ও দিনহাটা গিয়ে ট্রেন দুটি গন্তব্যে রওনা হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ১৯ এপ্রিল বামনহাটের পাথরশন এলাকায় ওই মেলা শুরু হয়েছে। ৬২ বছরের পুরানো ওই মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিদিন বিশেষ পুজোর বন্দোবস্ত হয়েছে। আজ শনিবার মাধাই কালি মন্দিরে ‘মহাবলিদান’ ঘিরে সবচেয়ে বেশি ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। মাধাই কালি মেলা কমিটির সদস্য স্বরাজ সাহা জানিয়েছেন, ‘মহাবলিদান’ পুজো ঘিরে ফি বছর প্রচুর লোকের ভিড় হয়। মেলা জনারণ্যের চেহারা নেয়। এবার শনিবার ওই পুজো হবে। মেলা শেষের কয়েকটা রাত বাড়ি ফেরার চিন্তা না থাকায় বাড়তি ভিড় হবে।” দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক জয়গোপাল ভৌমিক জানান, নানা কারণে রাতে দিনহাটা, কোচবিহারে ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। তাঁর কথায়, “শুধু নিরাপত্তার অজুহাতে আস্ত ট্রেনটিকে রাতে ফাঁকা নিউ কোচবিহারে ফেরত আনা হচ্ছে। রেলের খরচ যখন হচ্ছে, তখন মানুষ কেন নিয়মিত পরিষেবা পাবেন না?” দিনহাটা মহকুমা ব্যবস্যায়ী সমিতির সম্পাদক রাণা গোস্বামী জানান, দিনহাটা- মালদহ ডিএমইউ ট্রেনটির পরিষেবা বাড়ানো দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন