মেধা-তালিকায় কোচবিহারের দুই

মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে সম্ভাব্য মেধা তালিকায় প্রথম ১০-এ জায়গা পেল কোচবিহারের দুই কৃতী। কোচবিহার সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী শ্রমণা দাস ৬৭৬ ও জেনকিন্স স্কুলের তমোজিৎ দে সরকার ৬৭৪ পেয়ে পর্ষদের মেধা তালিকায় রাজ্যে যথাক্রমে সপ্তম ও নবম স্থান পেয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০১:৪১
Share:

শ্রমণা দাস ও তমোজিৎ দে সরকার। —নিজস্ব চিত্র।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে সম্ভাব্য মেধা তালিকায় প্রথম ১০-এ জায়গা পেল কোচবিহারের দুই কৃতী। কোচবিহার সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী শ্রমণা দাস ৬৭৬ ও জেনকিন্স স্কুলের তমোজিৎ দে সরকার ৬৭৪ পেয়ে পর্ষদের মেধা তালিকায় রাজ্যে যথাক্রমে সপ্তম ও নবম স্থান পেয়েছে। জোড়া সাফল্যে খুশির হাওয়া কোচবিহার জেলা জুড়ে। কোচবিহারের নিউ কদমতলা এলাকার বাসিন্দা শ্রমণার বাবা চিত্তরঞ্জন দাস তুফানগঞ্জ মহকুমার মারুগঞ্জ হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। মা মালবিকা দেবী কোচবিহার সদরের সাহেবেরহাট হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষিকা।

Advertisement

শিক্ষক দম্পতির দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় শ্রমণা। ছোটবেলা থেকে মেধাবী। ছোট ভাই শঙ্খদ্বীপ সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। শ্রমণার নম্বর বাংলায় ৯৩, ইংরেজিতে ৯১, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৭ ও ভূগোলে ৯৭। পড়াশোনায় শ্রমণাকে সাহায্য করতেন ৬ জন গৃহশিক্ষক। বাবা, মা ও আত্মীয় এক দাদা ও দিদিও মাঝেমধ্যে তাকে সাহায্য করত। দৈনিক গড়ে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করত শ্রমণা। ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা হতে চায় শ্রমণা। তার কথায়, “ইংরেজি ছাড়া অন্য সব বিষয়ের নম্বর আশানুরূপ হয়েছে।” শ্রমণার বাবা চিত্তরঞ্জন দাসের বক্তব্য, “মেয়ে ভাল ফল করবে জানতাম।”

জেনকিন্স স্কুলের ছাত্র তমোজিৎ দে সরকার কোচবিহার শহর লাগোয়া খাগরাবাড়ির বামনপাড়ার বাসিন্দা। বাবা তমাল দে সরকার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। মা দীপাদেবী গৃহবধূ। তমোজিৎ মেধা তালিকায় সম্ভাব্য নবম স্থান পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত গোটা পরিবার। তমোজিৎ বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৮, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯০, ভূগোলে ৯৭ পেয়েছে। সে দৈনিক গড়ে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। শিক্ষিকরা ছাড়াও ৭ জন গৃহশিক্ষক ছিল এই কৃতীর। তমোজিৎ ইঞ্জিনিয়র হতে চায়। দুই কৃতীই পড়াশোনার ফাঁকে টিভিতে পচ্ছন্দের অনুষ্ঠান দেখতেন। শ্রমণার প্রিয় তদন্ত- রোমাঞ্চ হিন্দি সিরিয়াল। তমোজিতের কার্টুন ও ক্রিকেট।

Advertisement

মাধ্যমিকের টেস্টেও দুই জনের নম্বর ৬৫০-এর কম ছিল। শ্রমণা ৬২৪ তমোজিৎ ৬১৯ নম্বর পেয়েছিল। দুই জনের কথায়, “টেস্টের পরেই নম্বর বাড়ানোর তাগিদটা বেড়ে গিয়েছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন