মানুষের পাশেই থাকব: সৌমিত্র

ভোটে হারলেও মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবেন বলে জানালেন উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী তথা গায়ক সৌমিত্র রায়। শুক্রবার মালদহ কলেজে ভোটগণনা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই সৌমিত্রবাবু বলেন, “নির্বাচনে হারজিত থাকবেই। তবে আমি হারলেও দল রাজ্যে আশাতীত ফল করেছে। তাই ভাল লাগছে। মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। ভবিষ্যতে মানুষের জন্য কাজ করে যাব। তাঁদের আপদে বিপদে পাশে দাঁড়াব।”

Advertisement

বাপি মজুমদার

মালদহ শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৪ ০২:০৪
Share:

সৌমিত্র রায়। —নিজস্ব চিত্র।

ভোটে হারলেও মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবেন বলে জানালেন উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী তথা গায়ক সৌমিত্র রায়। শুক্রবার মালদহ কলেজে ভোটগণনা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই সৌমিত্রবাবু বলেন, “নির্বাচনে হারজিত থাকবেই। তবে আমি হারলেও দল রাজ্যে আশাতীত ফল করেছে। তাই ভাল লাগছে। মানুষের রায় মাথা পেতে নিলাম। ভবিষ্যতে মানুষের জন্য কাজ করে যাব। তাঁদের আপদে বিপদে পাশে দাঁড়াব।”

Advertisement

এ দিন সকাল ৮টায় ভোটগণনা শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ আগেই বড় ছেলে আর্যেশকে নিয়ে ভোটগণনা কেন্দ্রে হাজির হন সৌমিত্রবাবু। তিনি আসতেই সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি, নিরাপত্তায় মোতায়েন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মধ্যেও গায়ক প্রার্থীর ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। গণনাকেন্দ্রে না ঢুকে ছেলেকে নিয়ে কিছুটা দূরে গাছতলায় বেঞ্চেই বসে পড়েন তিনি। প্রায় ঘন্টা তিনেক তিনি সেখানেই খোশমেজাজে ছিলেন।

এক সময় তাঁর পাশে গিয়ে বসেন কেন্দ্রের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী মিলন দাসও। সেখানে বসে রসিকতা করে সৌমিত্রবাবুকে বলতে শোনা যায়, “এখানে মৌসম ও খগেনবাবু এলে ভালই হত।” ওই দুই জন অবশ্য তখন গণনাকেন্দ্রে এক ঘর থেকে অন্য ঘর চষে বেড়াচ্ছেন। পঞ্চম রাউন্ডে কংগ্রেস প্রার্থী মৌসম প্রায় ১৮ হাজার ভোটে এগিয়ে যান। তার পরেই গাছতলার আড্ডা থেকে চলে যান সপুত্র সৌমিত্রবাবু। ফিরে আসেন অবশ্য দুপুর একটা নাগাদ। ততক্ষণে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছেন তিনি। মিনিট ১৫ গণনাকেন্দ্রে ঢুকেই ফের বাইরে বার হয়ে আসেন। চা খেয়ে ফের কিছুক্ষণ বাদে ফিরে আসেন। গায়ক প্রার্থী বলেন, “কোনও টেনশন নেই। খোশমেজাজেই আছি। হারলেও মানুষের পাশেই থাকব।”

Advertisement

উত্তর মালদহ কেন্দ্রে জয় নিয়ে তৃণমূল খুব বেশি আশা না করলেও সিপিএম প্রার্থী অবশ্য লড়াইয়ে ছিলেন। ৭টির মধ্যে দুটি বিধানসভায় ‘লিড’ও রয়েছে সিপিএম প্রার্থীর। কিন্তু হেরে হওয়ার পর সৌমিত্রবাবুর পাশাপাশি সিপিএমের খগেন মুর্মুও ধীরে ধীরে গণনাকেন্দ্র থেকে বার হয়ে যান। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী জিতলেও গোটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দলের শিবিরে তেমন উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি। জয়ী মৌসম বেনজির নূরও দিনের শেষে বলেন, “মানুষের পাশে ছিলাম বলেই ফের তাঁরা আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রথমে অনুরোধ করব, তাতে ফল না হলে আন্দোলনের পথে গিয়ে দাবি আদায় করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন