মাপজোক হয়েছে ছ’বছর আগে, মহানন্দপুরে সেতু হয়নি এখনও

কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার সময়েই সেতু গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। দফতরের লোকজনকে নিয়ে গিয়ে সেতুর মাপজোকও করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে প্রিয়বাবু অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকে মহানন্দার উপর ওই নতুন সেতু তৈরির কাজ তলিয়েছে বিশ বাঁও জলে। প্রিয়বাবু অসুস্থ হওয়ার পর প্রশাসনের পাশাপাশি উত্তর মালদহের সাংসদ বা বিধায়ক ওই সেতু গড়া নিয়ে উদ্যোগ নেননি বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৩৪
Share:

পারাপার করতে হয় এ ভাবেই। ছবিটি তুলেছেন বাপি মজুমদার।

কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকার সময়েই সেতু গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। দফতরের লোকজনকে নিয়ে গিয়ে সেতুর মাপজোকও করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে প্রিয়বাবু অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকে মহানন্দার উপর ওই নতুন সেতু তৈরির কাজ তলিয়েছে বিশ বাঁও জলে। প্রিয়বাবু অসুস্থ হওয়ার পর প্রশাসনের পাশাপাশি উত্তর মালদহের সাংসদ বা বিধায়ক ওই সেতু গড়া নিয়ে উদ্যোগ নেননি বলেও অভিযোগ।

Advertisement

চাঁচল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর এলাকা। মহানন্দার ওপারেই পাশাপাশি বিহার ও উত্তর দিনাজপুর। মহানন্দপুর ছাড়াও ভগবানপুর ও খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার ওপারে যেতে ভরসা বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে সহজেই বিহারের কাটিহার সহ রায়গঞ্জে যান বাসিন্দারা। একইভাবে ও পারের বাসিন্দাদেরও চাঁচলে আসতে হয়। আর বর্ষার সময় ভরা মহানন্দায় সাঁকোও তলিয়ে যায়। ফলে কয়েকমাস নৌকায় চেপে যাতায়াত করতে হয়। বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার সময় ফি বছরই বহু ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। অথচ ওই সেতু হলে উত্তর দিনাজপুর ও বিহারের কাটিহার জেলার সঙ্গে এ পারের চাঁচলের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগাযোগ গড়ে উঠত।

এলাকার বাসিন্দা জীতেন দাস, আব্দুল জাব্বাররা বলেন, “বাপ-ঠাকুর্দার কাছেই শুনেছি, যে স্বাধীনতার পর থেকেই মহানন্দার উপর সেতু হবে বলে নানা মহল থেকে প্রতিশ্রুতি মিলেছিল। তারপর প্রিয়বাবু উদ্যোগ নিলেও তিনি অসুস্থ হওয়ায় আর কাজ এগোয়নি।” বাসিন্দাদের দাবির কথা অজানা নয় উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নুরেরও। তিনি বলেন, “ওখানে সেতু গড়তে প্রচুর টাকা দরকার। বাসিন্দাদের দাবির কথা জানি। আমি লেগে রয়েছি। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি জেলা পরিষদ থেকে যদি সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হওয়া যায়, সেই চেষ্টা চলছে।”

Advertisement

ওই এলাকাতেই আদি বাড়ি চাঁচলের কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুবের। তিনি বলেন, “বিধানসভায় একাধিকবার ওই সেতুর বিষয়ে সরব হয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ এখনও হয়নি। ফের দাবি তুলব।”

চাঁচল পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতাসীন সিপিএম বোর্ডের সভাপতি রুবি সাহার বাড়ি জগন্নাথপুর এলাকাতেই। গ্রামের বাসিন্দা সভাপতি হওয়ায় প্রিয়বাবুর উদ্যোগের পর ৬ বছর বাদে ফের আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। সভাপতি বলেন, “যেভাবেই হোক জগন্নাথপুরে মহানন্দার উপর যাতে সেতু হয় সেই চেষ্টা করে যাব।” চাঁচল-১ ব্লকের বিডিও সুব্রত বর্মন বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে তো মহানন্দার উপর ব্যয়বহুল সেতু তৈরি করা সম্ভব নয়। তবে বাসিন্দাদের দাবি পূরণের জন্য প্রশাসনের পক্ষে যা যা করণীয় তা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন