আপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক মিলছে না। তাই শিক্ষাবর্ষ শুরুর মাস দুয়েক পরেও মালদহ জেলার ৩৩টি ‘নিউ সেট-আপ’ আপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পঠনপাঠন শুরুই হয়নি। অনুমোদনের পরেও পঠনপাঠন শুরু না হওয়ায় অভিভাবক মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শিক্ষক চেয়ে না মেলায় সমস্যায় পড়ে গিয়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর দফতর।
দফতর সূত্রের খবর, শুধু ৩৩টি নিউ সেট-আপ আপার প্রাথমিক স্কুল -এর শিক্ষক নয়, এ বছর রাজ্য সরকার জেলায় যে ৪৩টি প্রাথমিক স্কুলকে নিউ সেট-আপ আপার প্রাথমিক স্কুল হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে, সেই স্কুলগুলিতেও শিক্ষক পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক স্কুলের কিছু শিক্ষক ও শিক্ষা বন্ধুদের নিয়ে কোনও রকমে ১০টি আপার প্রাথমিক স্কুলে পঠনপাঠন শুরু করা হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিস চৌধুরী বলেছেন, “সরকার নিউ সেট-আপ প্রাথমিক বিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দিয়ে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে ওই স্কুলগুলিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। নিউ সেট আপ প্রাথমিক স্কুলে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না।” জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র বলেন, “স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর যোগ্যতার ৬০-৬২ বছরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক না মেলায় জেলার বেশ কিছু আপার প্রাথমিক স্কুলের পঠনপাঠন শুরু করা যায়নি। নিউ সেট আপ আপার প্রাথমিক স্কুলে শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য টাকাও দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
রাজ্য সরকার মালদহ জেলায় ২২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করছে। তার মধ্যে এ বছর জেলার ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আপার প্রাথমিক স্কুলে উন্নীত হয়েছে। ১০টি আপার প্রাথমিক স্কুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষা বন্ধুদের দিয়ে চালু হলেও বাকি ৩৩টি হয়নি। সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক চিন্ময় সরকার জানান, অনুমোদিত আপার প্রাথমিক স্কুলের একটি করে শ্রেণিকক্ষ তৈরির জন্য সবর্শিক্ষা মিশন থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা করে অনুমোদন করা হয়েছে। ২৫ শতাংশ টাকা ওই স্কুলগুলিকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলই নতুন শ্রেণিকক্ষের কাজ শুরু করতে পারেনি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রতিটি নিউ সেট আপ আপার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৬ জন করে শিক্ষকের প্রয়োজন। ৪৩টি স্কুলে শিক্ষক নেই। বাকি স্কুলেও ছয়জন শিক্ষক থাকার কথা তিন জন করে শিক্ষক বা শিক্ষিকা রয়েছে।