অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

মালদহে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত পাঁচ জন

জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মী ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়ে তারা। তার পরে হাঁসুয়া নিয়ে চড়াও হয়। সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ পুরাতন মালদহের সাহাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বিমল দাস কলোনি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পাণ্ডব দাস নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “পাণ্ডব বলে এই এলাকায় আমাদের কোনও কর্মী নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৭
Share:

জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মী ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়ে তারা। তার পরে হাঁসুয়া নিয়ে চড়াও হয়। সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ পুরাতন মালদহের সাহাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বিমল দাস কলোনি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পাণ্ডব দাস নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “পাণ্ডব বলে এই এলাকায় আমাদের কোনও কর্মী নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

Advertisement

ওই ঘটনার পরে গ্রামবাসীরা ঢিল ছুড়ে পাণ্ডবের এক আত্মীয় সাগর দাসের বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, ঘটনার পরে পাণ্ডব ও তার শাগরেদরা সাগরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। সাগরের বাড়ির ছাদ থেকে এক মহিলা ঢিল ছুড়ছিলেন। এর জেরে এক মহিলা ও এক শিশু-সহ পাঁচ জন জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে ধুব্রজ্যোতি বর্মন নামে বছর ত্রিশের এক যুবক মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন। বাকিদের মৌলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্‌সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন হালদার ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীরা পাণ্ডব ও তার দলবলের সাজার দাবিতে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ করেন। মালদহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। আইসি আশিস দেবও ঘটনাস্থলে যান। তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ডিএসপি (আইন শৃঙ্খলা) উত্তম ঘোষ বিশাল র্যাফ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমল দাস কলোনি এলাকায় একটি বাড়ি রয়েছে পাণ্ডববাবুর। তবে তিনি ওই বাড়িতে থাকেন না। পাশের গ্রাম কদমতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি তাঁর বিমল দাস কলোনির বাড়ির সামনে একটি মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। অনেক দিন ধরেই ওই জায়গায় একটি বেদিতে পুজো-আচ্চা হচ্ছিল। সেখানে একটি স্থায়ী মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। পাণ্ডববাবু তা নিয়ে বাধা দেওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর সঙ্গে গ্রামবাসীদের বিবাদ ছিল।

Advertisement

অভিযুক্ত পান্ডববাবু বলেন, “আগে আমি সিপিএমের প্রধান ছিলাম। এখন আমি তৃণমূল করি। গ্রামের কিছু লোক বাড়ির সামনের জমি জবর দখল করে পাকা মন্দির তৈরি করছে। এতে আমার বাড়ির দরজার সামনের রাস্তা পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার প্রতিবাদ করায় তারা আমার উপরে চড়াও হয়।”

বিধায়ক অর্জুন হালদারের বক্তব্য, “ গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে ওরা।” মালদহের এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। ডিএসপির নেতৃত্বে তদন্ত চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন