মর্গের সামনে এ ভাবেই পড়েছিলেন চার্লস টুডু। —নিজস্ব চিত্র
মদ্যপ অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে ভ্যানরিকশার উপরে পড়ে রয়েছেন উর্দি পরা এক কনস্টেবল। তাঁর উপরে বালতি বালতি জল ঢালা হচ্ছে। তবু জ্ঞান ফিরছে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে এই দৃশ্য দেখে অবাক এলাকার লোকজন। তবে চার্লস টুডু নামে মালদহের গাজল থানার ওই কনস্টেবলকে এ দিনই সাসপেন্ড করেছেন জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কর্তব্যরত অবস্থায় ওই কনস্টেবল যা করেছেন, তা কখনওই বরদাস্ত করা যায় না। ওই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গাজল থানার বাবুপুর অঞ্চলের সিঁধুপাড়ায় দুলাগি হেমব্রম (৫০) নামে এক আদিবাসী মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই মহিলার দেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সে দিন বিকেলেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু সে দিন বিকেল হয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত হয়নি। এ দিন ময়নাতদন্ত শেষ হলে ওই মহিলার দেহ তাঁর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য গাজল থানা থেকে ওই কনস্টেবলকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ছিলেন মৃতের পরিবারের লোকজনেরাও। তাঁদের অভিযোগ, মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় ওই কনস্টবলকে খুঁজতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, তিনি মদ খেয়ে মর্গের সামনে একটি ভ্যানরিকশার উপরে বেহুঁশ হয়ে পড়ে রয়েছেন। অনেক ডাকাডাকি করেও তাঁরা ওই কনস্টেবলের হুঁশ ফেরাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে খবর দিতে হয়। ইংরেজবাজার থানা থেকে পুলিশ আসে। প্রায় দু’ঘন্টার চেষ্টায় ওই কনস্টেবলের হুঁশ ফেরানো যায়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা করানোর পরে সন্ধ্যায় পুলিশের গাড়িতে অভিযুক্তকে গাজল থানায় পাঠানো হয়েছে।