সারদা কাণ্ডে মদন মিত্রের গ্রেফতারির পর গোটা রাজ্যের অভিমুখ যে সেই ঘটনার দিকেই তা বিলক্ষণ বুঝছেন ওরা। তাই সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি কোন পথে, তারই দিশা খুঁজতে উদগ্রীব ছিলেন ময়নাগুড়ির তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু নেতৃত্ব সেভাবে সাড়া না দেওয়ায় হতাশ তাঁদের একাংশ। শনিবার ময়নাগুড়ি হাইস্কুল মাঠে কর্মীসভায় দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেও রাজ্যের ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রীর গ্রেফতার নিয়ে একটি কথাও বলেননি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এমনকী, কর্মিসভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে ও পরে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সুব্রতবাবুর মন্তব্য, “রাজ্য স্তরের কোনও বিষয় নিয়ে এখানে কিছু বলব না।” যা শোনার পরে কয়েকজন প্রশ্ন তোলেন, “ময়নাগুড়ি কি রাজ্যের বাইরে?”
এদিন বেলা তিনটে নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছান সুব্রত বক্সি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াইয়ের ইতিহাস তুলে ধরে কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের হড়কা বানের প্রসঙ্গ টেনে কর্মী ও জেলা নেতৃত্বকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালিয়েছেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি। এপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভগবানের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। সুব্রত বাবু বলেন, “উত্তরাখণ্ডে মন্দির রক্ষা পেয়েছে। কারণ ভগবান আছেন। এক পুরোহিত ঘণ্টায় ঝুলে থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আবার অনেক পাপী পুরোহিত ভেসে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ভগবান। তাঁর প্রতি আস্থা রাখুন।”ভারত শাসন করার জন্য মমতা রথে উঠেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ্য সভাপতি তৃণমূলের জন্ম থেকে রাজ্যের ক্ষমতায় উত্তরণের ফিরিস্তি দেওয়ার সময় বুথ স্তরের কর্মীরা বলাবলি করেছেন, ‘মদন মিত্রকে নিয়ে কেন কিছু বলছেন না বক্সি দা!’ কাঙ্খিত বার্তা না পেয়ে সভা শেষে তাই হতাশ হয়েছেন অনেকেই।