এ বার থেকে মিলবে ‘লাইভ পুজো’ দেখার সুযোগও। নিজস্ব চিত্র।
দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ভক্তরা এবার ঘরে বসেই কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের ‘লাইভ পুজো’ দেখার সুযোগ পাবেন। শুক্রবার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ওই অনুষ্ঠানেই দেবোত্তর কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ওই ‘লাইভ পুজো’ দেখানোর কথা ঘোষণা করেন। জেলাশাসক তথা বোর্ডের সভাপতি পি উল্গানাথন বলেন,“পর্যটকদের কাছে মদনমোহন মন্দির-সহ অন্য মন্দিরগুলিকে তুলে ধরতেই এই ওয়েবসাইট চালু করা হয়। খুব শীঘ্রই লাইভ পুজো দেখার ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।” রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন,“কর্মসূত্রে কোচবিহারের বহু বাসিন্দা দেশে বিদেশে থাকেন। সরাসরি পুজো দেখার সুযোগ তাঁদের কাছে বাড়তি পাওনা। পর্যটকদের জেলায় আসার প্রবণতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ওয়েবসাইটটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।”ওয়েবসাইটের ঠিকানা-dtbcoochbehar.com/dtb/home.php
বোর্ড সূত্রেই জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনলাইনে মদনমোহন মন্দিরের পুজো দেওয়ার বন্দোবস্ত চালু করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট খুলে ওই পুজোর খরচ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে অন্য বেশ কিছু মন্দিরের সম্পর্কেও তথ্য রয়েছে। শুধুমাত্র দেবোত্তরের আওতাধীন মন্দিরগুলিকে প্রচারে আনতে ওয়েবসাইটের কাজ শুরু হয়।
প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি এই ওয়েবসাইটে মদনমোহন মন্দিরের ছবি, সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, লাগোয়া অন্যান্য মন্দিরের সম্পর্কে তথ্য, যাতায়াতের রুট, থাকার বন্দোবস্ত থেকে পুজোর নিয়মাবলি সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য রয়েছে। কোনও বিশেষ তিথিতে বা বিশেষ কারণে কেউ পুজো দিতে চাইলেও,ওয়েবসাইট খুলে তা বাছাই করে নির্দিষ্ট খরচ বোর্ডের অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। তার ভিত্তিতে আগ্রহী আবেদনকারীকে কবে তার নাম, গোত্র উল্লেখ করে পুজো দেওয়া হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই সময় ওয়েবক্যামেরার মাধ্যমে সাইটটি খুলে তিনি সরাসরি পুজো দেখতে পারবেন। বোর্ডের সদস্য কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, “পুজোর আগেই লাইভ পুজো দেখার ওই ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। এরজন্য মদনমোহন মন্দির চত্বরে ক্যামেরা বসানো হয়েছে।”
এদিন পর্যটন দফতরের উদ্যোগে মদনমোহন বাড়ি লাগোয়া আনন্দময়ী ধর্মশালায় নতুন ছ’টি ঘরের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। পর্যটন দফতর ওই ঘর তৈরির জন্য ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল।