মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ ত্রিপাঠীকে

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবে শিলিগুড়িতে ‘ত্রাসের পরিবেশ’ কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করে রাজ্যপালের ‘হস্তক্ষেপ’ চাইল কংগ্রেস। বুধবার দার্জিলিঙে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন জেলা কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। রাজ্যপালকে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪১
Share:

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবে শিলিগুড়িতে ‘ত্রাসের পরিবেশ’ কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করে রাজ্যপালের ‘হস্তক্ষেপ’ চাইল কংগ্রেস। বুধবার দার্জিলিঙে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন জেলা কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। রাজ্যপালকে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে কংগ্রেস। সেই স্মারকলিপিতেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব নিজে মারধরের করে এবং পুলিশকে ব্যবহার করে ‘ত্রাসের পরিবেশ’ তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। জেলা কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকারের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল এ দিন রাজভবনে গিয়েছিলেন। শঙ্করবাবুর দাবি, অভিযোগ খতিয়ে দেখে রাজ্যপাল পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন কোন অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাও রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে বলে কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়ির রামঘাট শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লির শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মহানন্দ মণ্ডলকে চড় মারার অভিযোগ দায়ের হয় মন্ত্রী গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে। এলাকায় দূষণ ছড়ানোর প্রতিবাদ জানাতেই মহানন্দবাবু সহ এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়েছিলেন বলে কংগ্রেসের দাবি। ওই ঘটনায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে উল্টে মন্ত্রী যাঁকে চড় মেরেছিলেন বলে অভিযোগ, সেই মহানন্দ মণ্ডলকেই পুলিশ গ্রেফতার করে স্মারকলিপিতে উল্লেখ্য করা হয়। একই মামলায় কংগ্রেস নেতা রাজেশ যাদবকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে দু’জনেই আদালতে জামিন পান। এ দিন কংগ্রেস নেতা রাজেশবাবুও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজভবনে গিয়েছিলেন।

মন্ত্রী গৌতমবাবু অবশ্য কংগ্রেসের অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি। এ দিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকের পরে এ প্রসঙ্গে গৌতমবাবু বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের অভিযোগ জানানো বা দ্বারস্থ হওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য উন্নয়ন। আমরা মানুষকে নিয়ে সেই কাজ-ই করে চলছি। কে কী অভিযোগ করল, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সময় নেই।”

Advertisement

বিরোধী দলের নেতাদের মোবাইল ফোন ট্যাপ করার অভিযোগও তুলেছেন শঙ্করবাবুরা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্‌ সেরে শঙ্করবাবু বলেন, “রাজ্যপালকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন