মহকুমা চায় বারবিশা, কামাখ্যাগুড়ি

মহকুমার স্বীকৃতি চেয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে সদ্যগঠিত আলিপুর দুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের দুই বানিজ্যকেন্দ্র বারবিশা ও কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দারা। পোস্টার, ব্যনারে ভরে গিয়েছে দুই এলাকা। নানা রাজনৈতিক দল, ক্লাব ব্যবসায়ী সমিতি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মহকুমা চেয়ে আন্দোলন শুরুর কথা ঘোষণা করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুমারগ্রাম শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৪ ০২:১০
Share:

ছবি: রাজু সাহা।

মহকুমার স্বীকৃতি চেয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে সদ্যগঠিত আলিপুর দুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের দুই বানিজ্যকেন্দ্র বারবিশা ও কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দারা। পোস্টার, ব্যনারে ভরে গিয়েছে দুই এলাকা। নানা রাজনৈতিক দল, ক্লাব ব্যবসায়ী সমিতি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মহকুমা চেয়ে আন্দোলন শুরুর কথা ঘোষণা করেছে। যদিও, এই দাবি নিয়ে মুখ খুলছেন না প্রসাশনিক আধিকারিকরা। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, আগে জেলার পরিকাঠামো গড়ার কাজ শেষ করা হবে। তার পরে মহকুমা বা ব্লক পুর্নগঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগেও কলেজ স্থাপন, দমকল কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি নিয়ে দুই এলাকার বাসিন্দারা দাবি-পাল্টা দাবি তুলেছিলেন। কুমারগ্রাম ব্লকের দ্বিতীয় পুর্ণাঙ্গ থানা তৈরির দাবি নিয়েও একই পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ কুমার ওরাওঁ অবশ্য বলেন, “আমরা চাই কুমারগ্রাম নামে আলাদা মহকুমার গঠন করা হোক। নতুন মহকুমার সদর কুমারগ্রাম, বারবিশা, কামাখ্যাগুড়ি অথবা বিধানসভা ক্ষেত্রের যে কোন এলাকা হতে পারে। এটা নিয়ে দুটি এলাকার মানুষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হোক, এটা চাই না।” কুমারগ্রাম বিধানসভা এলাকার আলিপুরদুয়ার ২ ও কুমারগ্রাম ব্লকের মোট ১৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে বারবিশাকে মহকুমা করার দাবিতে বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতি ও এলাকায় বিভিন্ন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পোস্টার লাগাতে শুরু করেছে। নতুন মহকুমার আওতায় কুমারগ্রামের তুরতুরিখণ্ড, রায়ডাক কামাখ্যাগুড়ি ১ এবং ২, ভল্কা ১ এবং ২, কুমারগ্রাম, চ্যাংমারি, নিউল্যান্ডস ও খোয়ারডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের শামুকতলা, কোহিনূর, তুরতুরি, মহাকালগুড়ি ও পারোকাটা ও ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতকে আনার দাবি তুলেছেন। গত বুধবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে জেলা ঘোষনার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দাবিপত্র তুলে দেওয়াও হয়েছে। অন্যদিকে, কামাখ্যাগুড়িকে মহকুমা করার দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও এলাকার বাসিন্দারা। এই দাবিতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে দাবিপত্র দিয়েছেন তাঁরা।

বারবিশা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কার্তিক সাহার দাবি, “বারবিশায় মহকুমার পরিকাঠামো গড়ে তোলা কোনও সমস্যা হবে না। পর্যাপ্ত জমিও মিলবে। তাছাড়া কুমারগ্রাম ব্লকের তুরতুরি খণ্ড ও রায়ডাক, নিউল্যান্ডস, সংকোশ, জয়দেবপুর, অমরপুর, বিত্তিবাড়ির মত এমন কিছু দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রসাশনিক কাজ করতে হলে প্রচন্ড হয়রানির স্বীকার হতে হয়।’’ কামাখ্যাগুড়ির একটি ক্লাবের বাপি সাহার দাবি, “ভৌগলিক অবস্থানগত দিক এবং জনসংখ্যার দিক বিবেচনা করে কামাখ্যাগুড়িকে আলাদা মহকুমার স্বীকৃতি দেওয়া একান্ত জরুরি। তবেই বাসিন্দারা উপকৃত হবেন। এতে এলাকার উন্নয়ন করবার পথ যেমন সুগম হবে। তেমনি প্রশাসনিক সুবিধাও পাবেন বাসিন্দারা।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন