জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কথা শুনেছেন বছর সত্তরের তাহাদুল ইসলাম। কিন্তু ছ’দিন ধরে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না সেখানে কাজ করতে যাওয়া তাঁর ছেলে আতাউর রহমানের সঙ্গে। বাড়িতে পুত্রবধূ এলেজা বিবি ও তিন ছোট নাতি-নাতনিকে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন ওই প্রৌঢ়।
মালদহের চাঁচলের দুলিয়াবাড়ির ওই পরিবারই শুধু নয়, গোটা মহকুমা থেকে কাশ্মীরে যাওয়া শতাধিক শ্রমিকের পরিজনদের একই রকম উদ্বেগে দিন কাটছে। ঈদের কয়েকদিন পরেই চাঁচলের উত্তর খেলেনপুর, সাহেবগঞ্জ, কুমারগঞ্জ, খেমপুর, খানপুর, হরিশ্চন্দ্রপুরের শিমুলিয়া, অর্জুনা, সাদলিচক-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিকরা। তাঁরা দল বেঁধে একসঙ্গে সেখানে থাকেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু যোগাযোগ না হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে তাঁদের। এ দিন কয়েকটি পরিবার চাঁচল থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে দেখা করেন। সাহায্যের জন্য প্রশাসনের কাছেও মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়। তার পাশাপাশি বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর প্রস্তুতি চলছে বলে শ্রমিকদের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “শ্রমিকদের লিখিতভাবে বিষয়টি জানাতে বলা হয়েছে। তা পেলেই জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” মালদহের জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীও বলেন, শ্রমিকদের পরিবারের তরফে বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে প্রশাসনের তরফে যা করার করা হবে।
ওই শ্রমিকদের পরিজনেরা জানিয়েছেন, ঈদের পরে কাশ্মীরে যাওয়ার পরে শ্রমিকেরা তাঁদের ফোনে জানিয়েছিলেন, সেখানে প্রবল বৃষ্টি চলছে। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।