রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে উদ্বেগ

ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই বিজেপি সরকারের রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আশঙ্কার মেঘ শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী মহলে। তাঁদের বক্তব্য, সব শ্রেণিতে যাত্রী ভাড়া ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি এবং পণ্য পরিবহণে সাড়ে ৬ শতাংশ মাসুল বৃদ্ধিতে জিনিসের দাম এক লাফে অনেকটাই বাড়তে বাধ্য। এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে বিপাকে পড়বেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৪ ০২:২৯
Share:

ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই বিজেপি সরকারের রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আশঙ্কার মেঘ শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী মহলে। তাঁদের বক্তব্য, সব শ্রেণিতে যাত্রী ভাড়া ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি এবং পণ্য পরিবহণে সাড়ে ৬ শতাংশ মাসুল বৃদ্ধিতে জিনিসের দাম এক লাফে অনেকটাই বাড়তে বাধ্য। এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে বিপাকে পড়বেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিত দাস রেলভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে এই সিদ্ধান্ত একেবারেই কাম্য ছিল না। এতে সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হয়নি। বিশ্বজিতবাবু বলেন, “এবার কাঁচামাল থেকে সব রকম পণ্য ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। বাজেট পেশের আগেই এভাবে রেল ভাড়া বৃদ্ধি করা উচিত হয়নি। মানুষের দুর্দশার দায় সরকারকে নিতে হবে।” ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী সকলকেই চাপে ফেলে দেওয়া হল বলে মনে করছেন শিলিগুড়ি হার্ডওয়ার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক প্রদ্যুম্ন সিংহ চৌহান। প্রদ্যুম্নবাবু বলেন, “একবারে ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি করার মত পরিস্থিতি ছিল বলে মনে করি না। এই দফায় ২-৩ শতাংশ বৃদ্ধিই যথেষ্ট ছিল।”

ব্যবসায়ী সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)-র উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান প্রবীর শীল এই মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যেত বলে মনে করেন। তাঁর মত, রেল শিল্পের জন্য বৃদ্ধি স্বস্তিদায়ক হলেও অন্য শিল্পের জন্য তা মোটেই সুখের হবে না। তবে রেলের বিপুল ঘাটতি মেটানোর জন্য দাম বাড়াতেই হত। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের উপর সরাসরি না ফেলে অন্য ভাবে বড় শিল্পের ক্ষেত্রে চাপানো যেত বলে মনে করেন তিনি। তবে পরবর্তী সময়ে এই মূল্যবৃদ্ধির সুফল পাওয়া যেতে পারে বলেও প্রবীরবাবুর ধারণা। তিনি বলেন, “যাত্রী ভাড়া এতটা বৃদ্ধি না করলেও হত। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই ব্যবস্থা নিলেও এখনকার সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেনি সরকার।” বাজেটে এর কারণ বিস্তারিত জানানো উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Advertisement

পণ্য পরিবহণ শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া নিয়ে আশঙ্কিত নর্থ বেঙ্গল পেট্রল ডিলার্স অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামল পাল চৌধুরী। তাঁর আশঙ্কা ডিজেল-পেট্রলও এতে প্রভাবিত হবে। সমস্ত পণ্যের উপরে এর প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, “ডিজেলের দাম যথেষ্ট বেড়েছে। এরপর কোনও জিনিসই ছুঁতে পারবেন না সাধারণ মানুষ।” আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, সরকারের তা নিশ্চিত করা উচিৎ বলে মনে করে শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement