রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অবরোধে বারোটি গ্রাম

পিচের চাদর উঠে গিয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। সংস্কারের অভাবে রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। যানবাহন চলা দূপের কথা, গ্রামবাসীদের হেঁটে চলাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রী থেকে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ সব মহলে দরবার করেও হাল না ফেরায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গ্রামবাসীরা সোমবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহর লাগোয়া ভাটপাড়া অঞ্চলের বানিয়াপাড়া এলাকার ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০২:২৬
Share:

পিচের চাদর উঠে গিয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। সংস্কারের অভাবে রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। যানবাহন চলা দূপের কথা, গ্রামবাসীদের হেঁটে চলাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রী থেকে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ সব মহলে দরবার করেও হাল না ফেরায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গ্রামবাসীরা সোমবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহর লাগোয়া ভাটপাড়া অঞ্চলের বানিয়াপাড়া এলাকার ঘটনা।

Advertisement

শহর লাগোয়া বঙ্গি এলাকা থেকে চকরাম এলাকা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এলাকার ১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের ওই বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হন। দুটি হাইস্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকেরাও ছিলেন। বিক্ষোভ অবরোধের খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে ঘেরাও হয়ে পড়েন বালুরঘাটের জয়েন্ট বিডিও-সহ পুলিশ কর্মীরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা ঘেরাও বিক্ষোভের পর বিডিও শুভ্রজিত গুপ্ত, জেলাপরিষদ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। বিধায়ক তথা পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “রাস্তার সমস্যা নিয়ে বাসিন্দারা আমার কাছে এসেছিলেন। জেলা পরিষদকে রাস্তা সারিয়ে সমস্যা মেটাতে বলা হয়েছে।”

বালুরঘাটের পূর্ব দিকে ভাটপাড়া অঞ্চলের চকরাম, চকদুর্গা, চকশ্যাম, মাঝিগ্রাম, চকরাম প্রসাদ, সাঁতরাই, বানিয়া পাড়া, নকশা, আমতলি, পালডাঙা, পোল্লাপাড়া সহ মোট ১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের ওই একটি মাত্র রাস্তা। সেটিতে নির্ভর করে তাঁরা জেলা সদর বালুরঘাটের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, সহ প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ভাবে যাবতীয় কাজকর্মে ওই রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। বিএসএফও ওই রাস্তা ধরে সদর শহর বালুরঘাটের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে।

Advertisement

এই দিনের বিক্ষোভে সামিল এলাকার শিক্ষিকা দীপা পাল জানান, এলাকার দুটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা ওই রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দৈনিক পথ দুর্ঘটনায় জখম হচ্ছে। এরই পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা পিন্টু চৌধুরী, বিজয় বর্মনেরা জানান, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে রোগীর অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে। এ দিন বিক্ষোভকারীদের একটি দল বিডিও-র সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের বিডিও শুভ্রজিৎ গুপ্ত বলেন, “জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। জেলা পরিষদের অর্থ স্থায়ী সমিতিতে রাস্তা মেরামতে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। চলাচলের মতো ব্যবস্থা করতে রাস্তার গর্তে ইটের গুঁড়ো দিয়ে ভরাটের কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।” জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি কল্যাণ কুণ্ডু এ দিন বলেন, “দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন