ধুঁকছে শিশু-শ্রমিক বিদ্যালয়

শিক্ষাকর্মীরা দু’বছর ধরে ভাতা পাননি

কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুদানে এবং শ্রম দফতরের তত্ত্বাবধানে চলা জলপাইগুড়ি জেলার শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের ৯৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী প্রায় দু’বছর থেকে সাম্মানিক ভাতা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। দিল্লিতে ধর্নায় বসে, স্মারকলিপি দিয়ে লাভ কিছু হচ্ছে না। শিক্ষকরা বুঝতে পারছেন না এর পরে কোথায় যাবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ০৪:৫০
Share:

কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুদানে এবং শ্রম দফতরের তত্ত্বাবধানে চলা জলপাইগুড়ি জেলার শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের ৯৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী প্রায় দু’বছর থেকে সাম্মানিক ভাতা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। দিল্লিতে ধর্নায় বসে, স্মারকলিপি দিয়ে লাভ কিছু হচ্ছে না। শিক্ষকরা বুঝতে পারছেন না এর পরে কোথায় যাবেন।

Advertisement

শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি এই প্রকল্পের আধিকারিক তথা জেলার সহকারী শ্রম আধিকারিক আর্থার হোড়। তিনি বলেন, “শুধু জলপাইগুড়ি জেলা নয়, রাজ্যের প্রতিটি শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের একই সমস্যা। দিল্লিতে বারবার চিঠি পাঠানো হচ্ছে কিন্তু বরাদ্দ অর্থ মিলছে না। সম্প্রতি ফের চিঠি পাঠানো হয়েছে। সমস্যা নিয়ে দেখা করতে গিয়ে শিক্ষকদেরও একই কথা শুনতে হচ্ছে। সাম্মানিক ভাতা কেন আসছে না ওই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্পের অধীনে ২০০৮ সালে জেলার জলপাইগুড়ি সদর, রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, ফালাকাটা মাদারিহাট ও কালচিনি ব্লকে ওই ১৯টি স্কুল গড়ে ওঠে। ছয়টি স্কুল চালু হয় মাদারিহাটে। প্রতিটি স্কুলে ৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর কথা। তবে প্রতিটি স্কুলে পড়ুয়াদের অনুপাত সমান নেই। স্কুল পরিচালনার জন্য আছেন দু’জন শিক্ষক, এক জন কর্ম শিক্ষার প্রশিক্ষক, এক জন হিসাবরক্ষক এবং এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। সাম্মানিক ভাতাও নির্দিষ্ট করা আছে যেমন, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকরা ু পাবেন ৪ হাজার টাকা, হিসাবরক্ষক ৩ হাজার টাকা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ২ হাজার টাকা।

Advertisement

শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের অভিযোগ, স্কুল চালুর পরে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ঠিকঠাক সাম্মানিক মিললেও এর পরে টাকা আসেনি। কেন সাম্মানিক আসছে না জানতে শ্রম দফতরে যোগাযোগ করে কোনও লাভ হয়নি। সুকান্তনগরের তিস্তা স্পেশাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবির চক্রবর্তী বলেন, “বকেয়া সাম্মানিকের দাবিতে দুই দফায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতেও ধর্নায় বসেছি ২০১২-র ডিসেম্বরে। সমস্যা মেটেনি।” শিক্ষকরা জানান, রাজ্যে ৯১৪টি শিশু শ্রমিক স্কুল আছে। স্কুলগুলির শিক্ষকদের মাথা পিছু বকেয়া সাম্মানিকের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। নিরুপায় হয়ে তাঁরা এখন পড়িয়ে সংসার সামলে স্কুল সচল রেখেছেন। কিন্তু সেটা কত দিন সম্ভব হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন জয়ন্তীপাড়া শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিম চৌধুরী। তিনি বলেন, “শিশুদের দিকে তাকিয়ে স্কুল বন্ধ রাখতে পারছি না। আবার পেটের ভাতও জোটাতে হচ্ছে। জানি না কতদিন চলতে পারব।”

সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃত দুই। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নেমে মারা গেলেন গৃহকর্তা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও এক জনও মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির খড়িবাড়ির গৌরসিংহ জোতে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম বিকাশ রায় (৩৬) ও শ্যামল বর্মন (৩৪)। তাঁদের উদ্ধার করে নকশালবাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, বাড়ির মেরামতির কাজ চলছিল। সেপটিক ট্যাঙ্ক সাফাই করতে নেমেছিলেন বিকাশ। সেখানে তাঁর চিৎকার শুনে রিকশাচালক শ্যামল বর্মন তাঁক উদ্ধার করতে এসে ট্যাঙ্কে পড়ে যান। সেখানেই সম্ভবত তাঁদের দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন