শূন্যপদ পূরণ করবে দফতর: কারামন্ত্রী

রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারগুলিতে ৩২ শতাংশ কর্মীপদ ফাঁকা রয়েছে। তাতে নিরাপত্তা, নজরদারির মতো কাজে সমস্যা হয় বলে কর্মী-আধিকারিকদের একাংশই জানান। সে কারণে ওই শূন্যপদ পূরণ করতে চায় কারা দফতর। শনিবার শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগার পরিদর্শনে এসে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি। তবে সংশোধনাগারগুলিতে জায়গার অভাবে বন্দি সংখ্যা বেড়ে গেলে যে সমস্যা দেখা দেয় তা মেটাতে এখনই কোনও উদ্যোগের কথা দফতরের তরফে ভাবা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪৩
Share:

রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারগুলিতে ৩২ শতাংশ কর্মীপদ ফাঁকা রয়েছে। তাতে নিরাপত্তা, নজরদারির মতো কাজে সমস্যা হয় বলে কর্মী-আধিকারিকদের একাংশই জানান। সে কারণে ওই শূন্যপদ পূরণ করতে চায় কারা দফতর।

Advertisement

শনিবার শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগার পরিদর্শনে এসে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি। তবে সংশোধনাগারগুলিতে জায়গার অভাবে বন্দি সংখ্যা বেড়ে গেলে যে সমস্যা দেখা দেয় তা মেটাতে এখনই কোনও উদ্যোগের কথা দফতরের তরফে ভাবা হয়নি। মন্ত্রী নিজেই জানান, বিভিন্ন সংশোধনাগারগুলিতে সব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ বাংলাদেশী বন্দি রয়েছে। জায়গা নিয়ে সমস্যার বড় কারণ সেটাও।

কারামন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন সংশোধনাগারগুলিতে ৩২ শতাংশ কর্মীপদ ফাঁকা রয়েছে। তা পূরণ করতে ৭০০ কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তার মধে ৯০ জনের মতো মহিলা কর্মী নেওয়া হবে। পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।” কারামন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দেন, আলিপুরদুয়ার নতুন জেলা ঘোষিত হওয়ার পর সেখানকার বিশেষ সংশোধনাগারকে জেলা সংশোধনাগারে উন্নীত করা হবে।

Advertisement

নিরাপত্তা এবং নজরদারির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে জেলাগুলিতে বিভিন্ন সংশোধনাগারে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কথা জানান মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই সংশোধনাগারে বর্তমানে ৩৪৭ জন বন্দি রয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষই জানান, তার মধ্যে ৬ টি পুরুষদের এবং ১টি মহিলাদের ওয়ার্ড। পুরুষদের ওয়ার্ডগুলির মধ্যে দুটি ছোট ওয়ার্ড। সেখানে গড়ে ৩০ জন বন্দি থাকতে পারেন। বড়গুলিতে রাখা হয় ৬০ জনের মতো বন্দি। মহিলা ওয়ার্ডও বড়। সেখানে এখন জনা ২০ বন্দি রয়েছে। বন্দির সংখ্যা বেড়ে সাড়ে চারশো পার হলেই জায়গা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারে। সম্প্রতি পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলনের সময় ধরপাকড় করা হলে তাঁদের শিলিগুড়ি সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। বন্দির সংখ্যা তখন ছয়শো ছাড়ায়। তাতে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষকে। ওর্য়াডগুলি দেখভালের জন্য বর্তমানে ৬০ জন কর্মী রয়েছেন। আরও অন্তত ২৫ জন কর্মী নিয়োগ করা প্রয়োজন বলে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে কারা দফতরে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, চার বছর আগে এই জেল থেকে ৪ জন বন্দি প্রায় ১২ ফুঁট উচু পাঁচিল টপকে পালিয়েছিল। তা নিয়ে হইচই পড়ে।

এ দিন কারামন্ত্রী সংশোধনাগারের প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে আবাসিক বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কোনও সমস্যা রয়েছে কি না জানতে চান। শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, বন্দিদের জন্য জেলে দাবা এবং ক্যারাম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন কারা মন্ত্রী তা উদ্বোধন করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন