শ্যালককে খুনের চেষ্টায় ধৃত

পারিবারিক বিবাদের জেরে শ্যালক ও তাঁর বন্ধুকে অপহরণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জামাইবাবু ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ রায়গঞ্জ থানার শক্তিনগর এলাকা থেকে অভিযুক্ত ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বাবন সাহা ও অসীম সাহা। তাদের বাড়ি রায়গঞ্জের মিলনপাড়া এলাকায়। ধৃতদের হেফাজত থেকে সুজিত সাহা ও তাপস পোদ্দার নামে দুই যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রায়গঞ্জের বীরনগর এলাকার বাসিন্দা সুজিতবাবু সম্পর্কে বাবনের শ্যালক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫৪
Share:

পারিবারিক বিবাদের জেরে শ্যালক ও তাঁর বন্ধুকে অপহরণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জামাইবাবু ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ রায়গঞ্জ থানার শক্তিনগর এলাকা থেকে অভিযুক্ত ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বাবন সাহা ও অসীম সাহা। তাদের বাড়ি রায়গঞ্জের মিলনপাড়া এলাকায়। ধৃতদের হেফাজত থেকে সুজিত সাহা ও তাপস পোদ্দার নামে দুই যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রায়গঞ্জের বীরনগর এলাকার বাসিন্দা সুজিতবাবু সম্পর্কে বাবনের শ্যালক। শিলিগুড়ির বাসিন্দা তাপসবাবু সুজিতবাবুর বন্ধু। রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “পারিবারিক বিবাদের জেরে বাবন ও অসীম সহ তিন যুবক সুজিতবাবু ও তাপসবাবুকে অপহরণ করে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও এক যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক কারণে বাবনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর গোলমাল চলছিল। রবিবার বাবনবাবুর স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁর স্ত্রীকে কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন বলে বাবনবাবুর সন্দেহ হয়। আইসি জানান, রবিবার রাতে সুজিতবাবু ও তাপসবাবু একটি ছোট গাড়িতে চেপে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বাবন, অসীম ও আরও এক যুবক একটি ছোট গাড়ি নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে রামপুর এলাকায় আটক করে। এর পর অভিযুক্তরা সুজিতবাবু ও তাপসবাবুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁদের গাড়িতে তুলে নিয়ে শক্তিনগর এলাকায় নিয়ে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবন ও অসীমকে গ্রেফতার করে। তাঁদের উদ্ধার করে। এক জন অবশ্য পালায়। অভিযুক্তদের কাছ থেকে অবশ্য কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পরে সুজিতবাবুদের গাড়ির চালক বাবন ও অসীমের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অপহরণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিন রায়গঞ্জ থানায় দাঁড়িয়ে ধৃত বাবন ও অসীম দাবি করেন, “আমাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা নির্দোষ। কাউকে অপহরণ করে খুনের চেষ্টা করিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন