শিশু-শ্রম নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে

শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার সাত কিশোর-শ্রমিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক ও জটিলতা বাড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৪ ০২:১৮
Share:

শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার সাত কিশোর-শ্রমিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক ও জটিলতা বাড়ছে। নাগরিক সমাজের অনেকে মনে করছেন, ওই কিশোরদের মধ্যে যারা নিরাপদে থেকে পড়াশোনা করতে চায়, তাদের সরকারি খরচে হোমে রাখার ব্যবস্থা হোক। সেই সঙ্গে যে অভিভাবকরা ওই নাবালকদের রেস্তোরাঁয় খাটিয়ে মাস মাইনে আদায় করতেন, তাঁদের ব্যাপারে বিশদে খোঁজ নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির তরফেও কিশোরদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

কমিটি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাদের তরফে শিলিগুড়ি আদালতের কাছে সামগ্রিক পরিস্থিতি জানিয়ে যথাযথ পদক্ষেপের আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঘটনাচক্রে, শিলিগুড়ির এসিজেএম সম্প্রতি ওই কিশোরদের অভিভাবকদের হলফনামার প্রেক্ষাপটে শুনানির পরে কিশোরদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য হোম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু, বিধি অনুযায়ী, সিডব্লুসির নির্দেশ ছাড়া বোমের পক্ষে ওইউ কিশোরদের ছাড়লে হোম কর্তৃপক্ষকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

এই অবস্থায়, পুলিশও আদালতের রায় কার্যকর করার নির্দেশ নিয়ে ফাঁপড়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার শিলিগুড়ি থানার পক্ষ থেকে এনজেপির বেসরকারি হোম ‘কনর্সান’-এর কাছে চিঠি পাঠিয়ে কিশোররা কী অবস্থায়, কেমন ভাবে আছে তা বিশদ ভাবে জানতে চাওয়া হয়। হোম সূত্রের খবর, সিডব্লুসির নির্দেশ মতো ওই উদ্ধার হওয়া কিশোরদের নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং তাদের বয়ানও নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশকে জানানো হয়েছে। সিডব্লুসির এক সদস্য জানান, ওই কিশোরদের বাড়ির লোকজনই তাদের ভয়ঙ্কর পরিশ্রমের জীবনে ঠেলে দিয়েছিলেন। ফলে, ফের তাঁদের হাতে তুলে দিলে আগামী দিনে যে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, সেই ব্যাপারে কমিটি নিশ্চিত হতে চায়। সে জন্য ওই পরিবারগুলির আর্থিক পরিস্থিতি ভাল ভাবে খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিটি।

Advertisement

গত ১৩ মে হিলকার্ট রোডের গুপ্তাস স্ন্যাক্স অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে ওই ৭টি কিশোরকে উদ্ধার করে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। হোটেল মালিক দোষ স্বীকার করলেও এখনও কোনও জরিমানা কিংবা আইনি নোটিস পাননি বলে দাবি করেছেন। পুলিশ ও শ্রম দফতরের পক্ষে ওই প্রক্রিয়া শুরু করার কথা। পুলিশ ও শ্রম দফতর দাবি করেছে, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ি আদালতের আইনজীবী অখিল বিশ্বাস জানান, উদ্ধার হওয়া কিশোরদের সুস্থ জীবনে ফেরায় বিঘ্ন না ঘটে সেই ব্যাপারে তাঁরা সবরকম সহযোগিতা করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement