বালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে মানিকচকের জালালপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষের পরেও পুলিশ অভিযুক্ত জওয়ানকে শনাক্ত করতে পারেনি। বালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক অজ্ঞাতপরিচয় জওয়ানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় শ্লীলতাহানি-সহ দুটি মামলা দায়ের করেছে। সেই সঙ্গে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে, সে ক্ষেত্রেও কেউ গ্রেফতার হননি। জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “ওই স্কুলের শিবিরে যতজন জওয়ান ছিল, তাঁদের হাজির করা হয়। বালিকা বা তাঁর মা অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারেনি।”
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দুই দিদিকে নিয়ে পাঁচ বছরের এক বালিকা বাড়ির পাশে আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিল। সেই সময় দুই দিদিকে তাড়িয়ে দিয়ে ভোটের কাজে আসা এক নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান ওই পাঁচ বছরের বালিকার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। গ্রামে বিষয়টি জানাজানি হতে গ্রামবাসীরা যে স্কুলে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা উঠেছিল সেই স্কুলে চড়াও হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে জালালপুর।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আইআরবি, সিআইএসএফ, রাজ্যে পুলিশের সশস্ত্র পুলিশ ও অন্য জেলার পুলিশ মিলিয়ে ৭৪ জন ছিলেন। ওই বালিকা ও তার মা এবং প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন গ্রামবাসীকে নিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জওয়ানকে শনাক্ত করতে ৭৪ জন জওয়ানদের সামনে হাজির করেছিল। ওই বালিকা ও তাঁর মা কেউ অভিযুক্তকে জওয়ানকে শনাক্ত করতে পারেনি। ওই বালিকার মায়ের অভিযোগ, “অভিযুক্ত জওয়ানকে বাঁচাতে শনাক্ত করার আগে তাকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যে আমার মেয়েকে শ্লীলতাহানি করেছে তাকে দেখলে আমি চিনতে পারব।”