রাজধানী-দুর্ঘটনার ২০ ঘণ্টা পরেও আতঙ্ক কাটেনি যাত্রীদের। বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ যখন বিশেষ ‘রিলিফ ট্রেন’ নিউ জলপাইগুড়িতে যাত্রীদের নিয়ে পৌঁছয় তখন সকলেই বিধ্বস্ত। অন্তত ৯০০ যাত্রীকে নিয়ে ফিরছে ওই ট্রেনটি। শিলিগুড়ির প্রধাননগরের বাসিন্দা শান্তনু ভৌমিক এহবং তাঁর স্ত্রী প্রীতিপ্রভা দুর্ঘটনাগ্রস্ত রাজধানী এক্সপ্রেসের বি-২ কামরার যাত্রী ছিলেন। ওই কামরাটিই সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শান্তনুর বাঁ পায়ে চোট লেগেছে।
ট্রেন থেকে নেমে শরীরে যেন প্রাণ ফিরে পেলেন তারা। সেই রাতের স্মৃতি বলতে গিয়ে চোখেমুখে ভয় ফুটে উঠছিল তাঁদের। বললেন, দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজে বিশেষ যে ট্রেন পাঠানো হয় সেখানেও ফ্যান, পানীয় জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। এমনই অভিযোগ, দিনহাটার বোর্ডিংপাড়ার বাসিন্দা গোপাল মালখানি এবং তাঁর পরিবারের লোকদের। তাঁরা ৮ জন দিল্লি থেকে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে বি-৩ এবং বি-৪ কামরায় ছিলেন তাঁরা। এ দিন সকলেই নিউ জলপাইগুড়িতে নেমে পড়েন। শিলিগুড়ির মিলনপল্লিতে ভাই জগদীশবাবু থাকেন। বুধবার রাতে সেখানেই থাকার ব্যবস্থা করেছেন স্ত্রী রিনাদেবী, ছেলে রাজা, মেয়ে পূজা পুত্রবধূ জ্যোতি দেবী সকলকে নিয়ে। নিউ জলপাইগুড়ির এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল জানান, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বিশেষ চিকিত্সা দল ছিল। তা ছাড়া যাত্রীদের সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ঘন্টাখানেক ট্রেনটি এ দিন এনজেপি স্টেশনে দাঁড়ায়।