সংঘর্ষ অব্যাহত সুরেন্দ্রনাথে

টিএমসিপি ও এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। তার জেরে শহরের শনিবার রাতে টিএমসিপির রায়গঞ্জ শহর সভাপতি বাবন সাহা রায়গঞ্জের সুপারমার্কেটে দাঁড়িয়েছিলেন। এসএফআইয়ের কর্মী সমর্থকেরা হঠাৎ তাঁর উপর চড়াও হয়ে মাটিতে ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১৫
Share:

অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক। —নিজস্ব চিত্র।

টিএমসিপি ও এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। তার জেরে শহরের শনিবার রাতে টিএমসিপির রায়গঞ্জ শহর সভাপতি বাবন সাহা রায়গঞ্জের সুপারমার্কেটে দাঁড়িয়েছিলেন। এসএফআইয়ের কর্মী সমর্থকেরা হঠাৎ তাঁর উপর চড়াও হয়ে মাটিতে ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পরে রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক গৌরব সাহা অশোকপল্লিতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন টিএমসিপি-র সমর্থকেরা পাল্টা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। দু’জনকেই রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর জেরে গভীর রাত পযর্ন্ত শহরে পুলিশ তল্লাশি চালায় অভিযুক্তদের খোঁজে। রাত অবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কলেজের ভিতরে ও বাইরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের ১২ জন জখম হয়েছেন বলে দাবি। তাঁদের মধ্যে এসএফআইয়ের ৭ জন সমর্থক রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশের সামনেই কলেজের বাইরে আধ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর তিন বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন টিএমসিপি ও এসএফআইয়ের সমর্থকেরা। পুলিশকে ঘেরাও করে দু’পক্ষের বিক্ষোভ ও পরস্পরকে একাধিকবার তাড়া করার ঘটনায় এদিন দীর্ঘক্ষণ কলেজ সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। বিকেল ৫টা নাগাদ পুলিশ টিএমসিপি সমর্থকদের সরিয়ে এসএফআই সমর্থকদের কলেজ থেকে বাইরে বের করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। টিএমসিপি-র অভিযোগ, এ দিন এসএফআই সমর্থকেরা হামলা চালালেও পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল। এসএফআইয়ের পাল্টা দাবি, পুলিশের একাংশের মদতেই এ দিন টিএমসিপি হামলা চালায়। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এ দিন দু’পক্ষই পুলিশকর্মীদের দফায় দফায় ঘেরাও করা হয়।

উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

গত শুক্রবার বিকেলে ছাত্র সংসদের ঘর দখল ও পাল্টা দখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে টিএমসিপি ও এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের ১৪ জন জখম হয়েছিলেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই কলেজ চত্বরে উত্তেজনা ছিল। টিএমসিপির অভিযোগ, এ দিনও তাঁদের নির্বাচিত ছাত্র সংসদের সদস্যরা ছাত্র সংসদের ঘরে ঢুকতে গেলে এসএফআই সমর্থকেরা তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করায় কলেজের ভিতরে ও বাইরে এসএফআই সমর্থকেরা পুলিশের সামনেই কয়েক দফায় লাঠি নিয়ে তাঁদের মারধর করে। এসএফআইয়ের পাল্টা অভিযোগ, দুপুরে এসএফআই সণর্খকরা বাড়ি ফেরার সময়ে কলেজের গেটের সামনে টিএমসিপি সমর্থকেরা হামলা চালায়। কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর রায় জানান, কলেজে সুষ্ঠ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে খুব শীঘ্রই কলেজ কর্তৃপক্ষ দু’দলের সঙ্গে বৈঠক করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন