ধর্ষণ করে খুন, বলছে পুলিশ

স্টেশনের মাঠে ভবঘুরের দেহ উদ্ধার আলিপুরদুয়ারে

এক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। শুক্রবার ভোরে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনের কাছে রাধা মাধব রোডের ধারে মাঠে বাসিন্দারা এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ দেখতে পান বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতার পরিচয় রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৪ ০২:০৭
Share:

এক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। শুক্রবার ভোরে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনের কাছে রাধা মাধব রোডের ধারে মাঠে বাসিন্দারা এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ দেখতে পান বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতার পরিচয় রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। তাঁর গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। নাকে-মুখে রক্তের দাগ লেগে ছিল। মৃতার পরিচয় জানতে না পারলেও, তিনি ভবঘুরে ছিলেন বলে পুলিশ মনে করছে। যে অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাতে খুনের আগে মহিলার উপরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। এই ঘটনায় পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। রাতে শহরের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া এদিন বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ৪০-৪৫ বছরের ওই মহিলাকে চূড়ান্ত শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পুরো বিষয়টি জানা যাবে। মহিলার পরিচয় জানা যায়নি।”

এই দিন প্রাতর্ভ্রমণে কয়েক জন বাসিন্দা মহিলার দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা দিবাকর পাল বলেন, “সকালে মহিলার দেহ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা আমাকে জানান। তা পুলিশকে জানানো হয়।”

Advertisement

ঘটনাস্থল এবং দেহ পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, এক বা একাধিক দুষ্কৃতী ধর্ষণ করে মহিলাকে খুন করে থাকতে পারে। রাস্তার পাশে মৃতার একটি কাপড়ের ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। তাতে রাস্তা থেকে কুড়োনো নানা জিনিস ছিল। একাংশ বাসিন্দার অভিযোগ, রাতে মদের আসর বসে। নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে ওই রাস্তা দিয়ে লোক যাতায়াত করেন। ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “এমন একটা ঘটনা উদ্বেগের। রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানোর জন্য আমারা পুলিশ কর্তাদের বিষয়টি জানাব। এ রকম একটা ঘটনা শহরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন