সন্দেহের বশে শ্বশুবাড়িতেই প্রথম স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মালদহের রতুয়ার রসুনগঞ্জ এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি ঘটে। রাতেই বাড়ির পাশে গোয়ালঘর থেকে আজমিরা বিবি (২৩) নামে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার তার মায়ের অভিযোগ পেয়ে স্বামী সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজমিরার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে সে স্ত্রীকে খুন করেছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়ার চাঁদমনির বাসিন্দা আজমিরা বিবির সঙ্গে সাত বছর আগে রতুয়ার নিমতলা এলাকার সফিকুলের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। সফিকুল পেশায় হকার। মাঝেমধ্যে ভিনরাজ্যে শ্রমিকেরও কাজ করেন। প্রথমা স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও গত বছর সফিকুল বোমপাল এলাকার এক মহিলাকে ফের বিয়ে করেন। তা নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ চরমে ওঠে। অশান্তির জেরে ছয় মাস আগে অবশ্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাকও দিয়ে দেন।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার আজমিরা বাপের বাড়িতে যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছায় সফিকুল। বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় বাইরে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে যায় সে। তারপর আর তারা ফেরেনি। শিশুপুত্রকে কাঁদতে দেখে পরিবারের লোকেরা ঘরে গিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে লাগোয়া গোয়ালঘরে আজমিরার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার সফিকুল শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে রাতেই বাড়িতে চলে যান। মৃতার বাবা বাণী ইসরাইলও পেশায় দিনমজুর। তিনি বলেন, “জামাইয়ের স্বভাব ভাল ছিল না। উল্টে ও আমার মেয়েকেই সন্দেহ করত। ”