সংস্কৃতি যেখানে যেমন

কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকে প্রকাশিত হল ‘এক টুকরো আকাশে’র উত্‌সব সংখ্যা। শাঁওলি দে এবং মধুমিতা চন্দের সম্পাদনায় টুকরো আকাশে সাহিত্য শারদাঞ্জলির হরেক উপচার। আকাশের ছায়াপথে শাঁওলি-তনুশ্রীর ‘মুক্ত গদ্যে’ গাঁথা হয়েছে নস্টালজিয়া ‘একটা গাছ হয়ে ওঠার কথা’, গাঁথা হয়েছে নিজেকে খোঁজার তাগিদ ‘আমার আমি’।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:০৫
Share:

এক টুকরো আকাশ

Advertisement

লেখা: সুদীপ দত্ত

Advertisement

কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকে প্রকাশিত হল ‘এক টুকরো আকাশে’র উত্‌সব সংখ্যা। শাঁওলি দে এবং মধুমিতা চন্দের সম্পাদনায় টুকরো আকাশে সাহিত্য শারদাঞ্জলির হরেক উপচার। আকাশের ছায়াপথে শাঁওলি-তনুশ্রীর ‘মুক্ত গদ্যে’ গাঁথা হয়েছে নস্টালজিয়া ‘একটা গাছ হয়ে ওঠার কথা’, গাঁথা হয়েছে নিজেকে খোঁজার তাগিদ ‘আমার আমি’। সংকলনের গল্প-কবিতা-ভ্রমণকাহিনি সবই সুখপাঠ্য। ঝরঝরে ভাষা পাঠককে অনায়াসে টুকরো আকাশের সীমানা পার করে দেয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে পত্রিকাটি প্রকাশ করেন শিক্ষাবিদ বাসুদেব বিশ্বাস।

ভাণ্ডামি পুশা

ভান্ডামি পুশা ও উত্‌সব কমিটি মাথাভাঙার উদ্যোগে ৫ অক্টোবর ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক দীপককুমার রায়। বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবলু বর্মন, ব্যবহারজীবী শিবেন রায়, বিনয় বর্মন এবং রাজবংশী ভাষা অকাদেমির চেয়ারম্যান সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন। বক্তারা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পঞ্চানন বর্মার সাহিত্য ও কর্মজীবন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ

লেখা: অনিতা দত্ত।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ির সুভাষ ভবনে অধ্যাপিকা ড. শীলা দত্ত ঘটকের কাব্যগ্রন্থ ‘প্রকৃতি পূজার স্বরলিপি’ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ পেল। গ্রন্থটি প্রকাশ করেন ড. আনন্দগোপাল ঘোষ। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কবি পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত। স্বাগত ভাষণ দেন প্রকাশক অরুণচন্দ্র ঘটক। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুলগ্না ঘটক। ড. শীলা দত্ত ঘটক বিজ্ঞানী হিসেবে সুপরিচিত। এ বার উত্তরবঙ্গের সাহিত্য মানচিত্রে পা রাখলেন।

পুজোর সময় যাত্রা উত্‌সব

শহুরে মানুষ যখন মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখতে ব্যস্ত, অষ্টমীর রাতে বানারহাট চা বাগানের মাঠ জুড়ে তখন ছড়িয়ে রইল এক অদ্ভুত মাদকতা। কয়েক হাজার নারীপুরুষ পা মেলালেন ধামসা মাদলের তালে তালে। নেচে গেলেন রাতভর। শুধু বানারহাট নয়, ডুয়ার্সের বিভিন্ন বাগানের শ্রমিক মহল্লার ওঁরাও, মুন্ডা, সাঁওতাল, মালপাহাড়িয়া, লোহার, হো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ মেতে ওঠেন এই আনন্দোত্‌সবে। এই উত্‌সবের নাম ‘যাত্রা’। কোথাও সপ্তমী, কোনও চা বাগানে অষ্টমী কোথাও বা আবার নবমীর রাতে অনুষ্ঠিত হল যাত্রা। বিকেল গড়াতেই বাগানের মাঠে পায়ে পায়ে জমায়েত। আদিবাসী গোষ্ঠীর পুরোহিত নৃত্যানুষ্ঠানের শুরুতে মাঠে বাঁশের কঞ্চি, ঘট রেখে একটা গাছের ডালে পুজো সারলেন। পুজোর উপকরণআতপ চাল, পাকা কলা, সুপারি, সিঁদুর, ছোলা, ধান, দম। গাছের ডালে উত্‌সর্গ করা হয় মুরগি ও পায়রা। দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হল ঘরে বানানো হাড়িয়া। পুজো শেষে দেবতার উদ্দেশ্যে সম্মিলিত প্রণাম। প্রণাম শেষে ‘দ্রিমি দ্রিমি’সুরে বেজে ওঠে ধামসা, মাদল।

দ্যোতনার উদ্যোগে গান, আড্ডা

সম্প্রতি অন্য ধারার বাংলা গানে পরিচিত মুখ মৌসুমী ভৌমিকের সঙ্গে শহর জলপাইগুড়ির সংস্কৃতি জগতের মানুষদের ঘরোয়া আড্ডা বসেছিল ‘দ্যোতনা’ পত্রিকার উদ্যোগে। শিল্পী জানালেন, যদিও জন্ম তার এই শহরেই কিন্তু এই প্রথমবার জন্মভূমির মানুষদের মুখোমুখি হলেন তিনি। এই আসরে তার সঙ্গীতভাবনা, জীবন সম্পর্কিত নানা কথার মধ্যে পাওয়া গেল সোজাসাপ্টা মৌসুমীকে। উঠে এল বাংলাদেশের লোকগানের বিরহের বিষয়। শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হবার যন্ত্রণা, পৃথক হবার বেদনা, যা বর্তমানে তার গবেষণার বিষয় বলে জানালেন। আসরে উপস্থিত ছিলেন গৌতম গুহরায়, মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস, তমোজিত্‌ রায়, মধুপর্ণা রায়-সহ আরও অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন