রতুয়া ২

সদস্যেরা দল ছাড়ায় পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যালঘু কংগ্রেস

সদস্যেরা দলত্যাগ করায় মালদহের রতুয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল কংগ্রেস। সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থাও পেশ হয়েছে ইতিমধ্যে। গত সোমবার মহকুমাশাসকের কাছে কংগ্রেসের দলত্যাগী ১১ জন সদস্য লিখিতভাবে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৪
Share:

সদস্যেরা দলত্যাগ করায় মালদহের রতুয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল কংগ্রেস। সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থাও পেশ হয়েছে ইতিমধ্যে। গত সোমবার মহকুমাশাসকের কাছে কংগ্রেসের দলত্যাগী ১১ জন সদস্য লিখিতভাবে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেছেন। ইতিমধ্যেই দলত্যাগীদের ঘরে ফেরাতে তৎপরতা শুরু করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, ক্ষমতা দখল করতে তাঁদের দলের সদস্যদের ভাঙিয়ে আনায় মদত দিচ্ছে তৃণমূল।

Advertisement

তবে দলত্যাগীদের দাবি, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অযোগ্য হলেও তাকে সরাতে দল কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। উনি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিলেও দল ব্যবস্থা নেয়নি। তবে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে দলত্যাগীরা এখনই প্রকাশ্যে বিস্তারিতভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কংগ্রেসের এক দলত্যাগী সদস্য আমিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা নির্দল হয়েছি। এর বেশি এখন কিছু বলতে পারব না।” আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর অনাস্থা নিয়ে তলবি সভার দিন স্থির করেছে প্রশাসন। চাঁচলের মহকুমাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, “রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সভা ডাকা হয়েছে।”

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত নির্বাচনে সমিতির ২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ২১টি, বামেরা দু’টি ও তৃণমূল একটি আসন পায়। সভাপতি হন কংগ্রেসের তজিবুর রহমান। সফিউল আলম নামে এক কংগ্রেস সদস্যকে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করার পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে ২০ জন কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে ১১ জন দল ছাড়ায় কংগ্রেস বোর্ড সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে।

Advertisement

অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সভাপতি তজিবুর রহমান বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করা হয়েছে।” দলের রতুয়া-২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি নিমাই বসাক বলেন, “মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আর ওদের নিয়েই তৃণমূল ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। আমরা দলত্যাগীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।”

এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ নৈমুদ্দিন বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। আমাদের সম্পর্কে অভিযোগ না করে তাঁদের সদস্যরা কেন দল ছাড়ল সেটাই কংগ্রেসের ভেবে দেখা উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন