খুদে অনসূয়া। নিজস্ব চিত্র।
সন্তান জন্মালেই তাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে পায়ে পিষে মেরে ফেলে কুনকি অনসূয়া। ইতিপূর্বে তিন-তিন বার ওই কাণ্ডের পরে দিন কয়েক আগে চতুর্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে রাত জেগে তাকে পাহারা দিচ্ছেন বনকর্মীরা।
অনসূয়ার চতুর্থ সন্তানকে আপাতত গুঁড়ো দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তাঁরা। মায়ের কাছে সন্তানকে দিলে পাছে গত তিন বারের পুনরাবৃত্তি হয় তাই এই মরিয়া চেষ্টা বনকর্মীদের।
কেন সে সন্তান-হন্তা? হস্তি বিশেষঞ্জ ধৃতীকান্ত লাহিড়ি চৌধুরীর কথায়, ‘‘এত বছর ধরে হাতিদের জীবনযাপন দেখেছি। এমন আচরণ দেখিনি।’’ পার্বতী বড়ুয়ার অবশ্য মনে হচ্ছে —‘‘প্রথম বার বাচ্চাটি মেরে ফেলার পর সে হয়তো এটাকেই নিয়ম বলে মনে করে বসেছে।’’
জলদাপাড়ার প্রাণী চিকিৎসক অশোক কুমার সিংহ বলেছেন, ‘‘ওই হস্তিনীর বয়স যখন কম সেই সময়ে প্রথম বার এক বুনো হাতির সঙ্গে মিলনে মা হয়েছিল সে। তার পর থেকে একের পর এক সন্তানকে মেরে ফেলেছে সে।’’
গত ২৫ অগাষ্ট অনসূয়া কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় জলদাপাড়া পিলখানায়। তবে এ বার যাতে ওই ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয় সে জন্য প্রসবের পরেই শাবকটিকে সরিয়ে ফেলেন বনকর্মীরা। দিন কয়েক পরে দেবযানী নামে অন্য এক কুনকি একটি শাবকের জন্ম দেয়। সেই মায়ের দুধ খাইয়ে এই শাবকটিকেও বড় করা যাবে, আশা ছিল বনকর্মীদের। তবে, সে চেষ্টাও ব্যর্থ। দেবযানী অনসূয়ার শাবককে ধারে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না। জলদাপাড়ার এডব্লুএলডব্লু বিমল দেবনাথের কথায়, ‘‘শাবকটি যাতে মাতৃদুগ্ধ পায় সে জন্য সব রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’