দুই সন্দেহভাজন বোড়ো জঙ্গিকে গ্রেফতার করল আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ। বুধবার বিকেলে কামাক্ষ্যাগুড়ি এলাকার দেবেনবাবুর চৌপথি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি পাওয়া গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “ধৃতদের মধ্যে ইউলিস মোচারি ওরফে জে মোসাহারি কামাক্ষ্যাগুড়ির খোয়ারডাঙা এলাকার বাসিন্দা এবং কানু বসুমাতারি ওরফে টাম্পা অসমের গোসাইগাঁও এলাকার বাসিন্দা।”
ধৃতদের কাছে একটি ৭.৬৫ এম এম পিস্তল ও একটি নাইন এম এম পিস্তল মিলেছে। সঙ্গে চারটি ম্যাগাজিন ১০ রাউন্ড গুলি দুটি মোবাইল ফোন ও ছ’টি সিম কার্ড পাওয়া গিয়েছে।” সরকারী আইনজীবী মহম্মদ রফি জানান, অতিরিক্ত মুখ্যবিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক শুভদীপ চৌধুরী ধৃতদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, ইউনিলিসের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মারপিটের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ঘটনার পর সে অসমে চলে যায়। ধৃত দুই জঙ্গী এফডিএফবির সংবিজিত দলের সদস্য। ২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে শিলিগুড়ি থেকে অসম যাওয়া যাত্রী বোঝাই বাস শেরফাংগুড়ি রামফল এলাকায় থামিয়ে সাতজন যাত্রীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এনডিএফবি জঙ্গিরা ঘটনায় এই দুজন জঙ্গি জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে অসম থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এসেছিল।
বার বার কুমরাগ্রাম, বারবিশা, আলিপুরদুয়ারের ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনা ঘটছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণের বিনিময় অপহৃতদের ছেড়েছে। অপহরণের সঙ্গে ধৃতদের কোনো যোগাযোগ রয়েছিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অসম ও ভুটান সীমান্তের কুমারগ্রাম থানার কামাখ্যাগুড়ি এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ।