শহরে ইট-লোহা কংক্রিটের ভিড় বেশি। দিন যাপনের বাঁধাধরা ছক থেকে যেমন পুজোর ক’দিন বের হয়ে আসার সুযোগ থাকে, তেমনিই কংক্রিটের ভিড় থেকেও ‘মুক্তি’র স্বাদ দিতে পারে মোহিতনগর বা এবিপিসির পুজো মণ্ডপ।
গোটা একটা গ্রাম-ই উঠে আসবে এবিপিসির পুজো মণ্ডপে। নাগাদের গ্রাম। মণ্ডপসজ্জার জন্য ধূপগুড়ি থেকে শিল্পী এসেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অনান্য গ্রামের সঙ্গে নাগাদের গ্রামের পার্থক্য রয়েছে। দেখা যাবে, ঝুম চাষের কৌশল। নাগাদের খাওয়াদাওয়া, জীবনযাত্রার নানা ধরণও দেখা যাবে মণ্ডপে। পুজো কমিটির সম্পাদক বিজন চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিবারই দেশের কোনও না কোন গ্রাম থিম করার চেষ্টা করব। দর্শকরা এবার নাগাদের গ্রামের বৈশিষ্ট্য দেখতে পাবেন।’’ এবিপিসির মণ্ডপ থেকে খানিকটা এগোলেই মোহিতনগর ক্লাব এবং পাঠাগারের পুজো। এবার ৫৭ বছরে এই পুজো কমিটি। থিম সবুজায়ন। সবুজ ধানগাছ লাগিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি পাহাড়। ৫০ ফুট উঁচু এবং ৭০ ফুট চওড়া পাহাড়ের মধ্যে থাকবে একটি গুহা। সেই গুহার মধ্যেই থাকবে দেবী প্রতিমা। পাহাড়ের গাছগাছালির পাঁকে দেখা যাবে সাপ, পাখি, ময়ূর এবং বিভিন্ন বন্যজন্তুর মডেল। দশনার্থীদের ২০ ফুট উঁচুতে উঠে পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে সেই গুহামূখে প্রবেশ করে আবার ২০ ফুট নেমে মূল মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে। মণ্ডপের বাইরে থাকছে একটি পার্ক। সবুজ ঘাসের লনে থাকছে ফুলের টব দিয়ে সাজানো একটি বাগান। দর্শনার্থীরা এই পার্কে বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন।
মোহিতনগর নেতাজি ক্লাব এবং পাঠাগারের সদস্যরা এবার ৫৭তম বর্ষের পুজো মণ্ডপের জন্য গ্রাম বাংলার প্রাচীন মন্দিরের স্থাপত্যের উপর নির্ভর করছে। মণ্ডপের ভেতরে প্লাইউড এবং থার্মোকল দিয়ে বিভিন্ন মডেল থাকবে। সবগুলোই পৌরাণিক কাহিনীর চরিত্র যেমন দুষ্মন্ত ও শকুন্তলা। পুজো কমিটির সম্পাদক মানিক সাহা বলেন, “বরাবরই বিভিন্ন ধরনের মন্দির করে থাকি। মন্দিরই আমাদের থিম।”