সরকারি চা বাগানেও ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য চা উন্নয়ন নিগম। বৃহস্পতিবার নিগমের তরফে এই ঘোষণা হয়েছে বলে চা মালিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে। দার্জিলিঙে পাদম, রাঙ্গারুং এবং রংমুক-সিডার এই তিনটি চা বাগান রাজ্য চা উন্নয়ন নিগমের অর্ন্তগত। অন্যদিকে, ডুয়ার্সের হিলি এবং মৌ চা বাগান নিগমের পরিচালনার দায়িত্বে। এই বাগানগুলির শ্রমিকরাও অনান্য চা বাগানের শ্রমিকদের মতো ২০ শতাংশ হারেই বোনাস পাবেন বলে জানানো হয়েছে। পাহাড়ের তিন বাগানে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
দার্জিলিঙের চা বাগান মালিকদের সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “নিগমের পরিচালনাধীন চা বাগানগুলিতেও ২০ শতাংশ হারে বোনাস পাবেন। আজই এই সিদ্ধান্ত জেনেছি।”
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠনের তরফে সরকারি চা বাগানেও ২০ শতাংশ হারে বোনাসের দাবি তোলা হয়। ফি বছর-ই বিভিন্ন চা বাগানের বোনাস চুক্তির সঙ্গেই নিগমের পরিচালনাধীন পাহাড়-সমতলের বাগানগুলিরও বোনাস চুক্তি হয়। আলোচনার জন্য প্রতিবারই নিগমের তরফে দার্জিলিঙের চা বাগান মালিকদের সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবারও তেমনিই হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও বোনাস চুক্তির পরে নিগমের তরফে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ওই হারে বোনাস দেওয়া সম্ভব হবে না বলে ঘোষণা করা হয় বলে শ্রমিক সংগঠনের দাবি। পরিবর্তে ১০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার কথা জানানো হয়।
সম-হারে বোনাসের দাবিতে অনশন-সহ লাগাতার অবস্থান আন্দোলনেরও হুমকি দেয় মোর্চার সংগঠন। সংগঠনের মুখপাত্র মিলন প্রধান বলেন, “২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এ দিনই বোনাসের দাবিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রীকে সংগঠনের তরফে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল।” সংগঠনের আন্দোলনের জেরেই বোনাসের নতুন হার ঘোষণা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ইতিমধ্যে নিগমের দফতর থেকে ২০ শতাংশ হারে বোনাসের কথা জানিয়ে দার্জিলিঙের চা মালিকদের সংগঠনকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। আহামী শনিবারের মধ্যে নতুন হারে বোনাস বিলি শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।