তরাই স্কুলের মাঠে সরকারি উদ্যোগে শুরু হল বইমেলা। —নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়িতে সরকারি উদ্যোগে বইমেলার শুরু হল। রবিবার তরাই তারাপদ আদর্শ বিদ্যাপীঠের মাঠে ওই মেলার সূচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক আনন্দ গোপাল ঘোষ। সরকারি বইমেলায় বিক্রেতা এবং প্রকাশকরা মূলত নির্ভর করেন সরকারি অনুদানে এলাকার গ্রন্থাগারগুলির বই কেনার উপরেই। বিভিন্ন জেলায় সরকারি উদ্যোগে যে বইমেলা হয় সেখানে এলাকার অন্তত ১০০ টি গ্রন্থাগার বই কেনে। সেখানে শিলিগুড়ি মহকুমায় গ্রন্থাগার রয়েছে মাত্র ২৮টি। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলির প্রত্যেকটি ১০ হাজার টাকার মতো বই কেনার অনুদান পাচ্ছে। শিলিগুড়ি শহরের ৪টি গ্রন্থাগার ২০ হাজার টাকা করে অনুদান পাচ্ছে। অন্য দিকে একটি মাত্র জেলা গ্রন্থাগার ৫০ হাজার টাকার বই কেনার অনুদান পাচ্ছে। সেই মতো গ্রন্থাগারগুলি ৪ লক্ষ টাকার মতো বই কিনবে।
বইমেলার আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা রাজ্যের গ্রন্থাগার পরিষেবা অধিকার বিভাগ এবং স্থানীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন মেলার আয়োজন সাধারণত কাঞ্চমজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হয়ে থাকে। শহরের এই অংশে সে জন্য এ বার এই বইমেলার আয়োজন করা হল। দায়িত্বে থাকা জেলা গ্রন্থাগারিক কল্যাণ পাইন বলেন, “গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলিতে অন্তত ১০ হাজার টাকার বই কিনতে বলা হয়েছে। অনেকে ক্ষেত্রে তারা ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকারও বই কেনেন। এ ছাড়া বাসিন্দারাও রয়েছেন।”
উদ্বোধনের দিন সাতটি স্টল খুলেছে। বাকিগুলি চালুর তোড়জোড় চলছে। উদ্যোক্তারা জানান, সব মিলিয়ে অন্তত ৩৫ টি স্টল থাকবে। তার মধ্যে গোটা ১৫ কলকাতার বিভিন্ন প্রকাশনি এবং বিক্রেতা সংস্থা। বাকিগুলি স্থানীয় বিক্রেতা সংস্থা। কলকাতার একটি প্রকাশনি সংস্থার তরফে জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী জানান, প্রথম দিন স্টল গোছানোর জন্য একটু দেরি হয়েই থাকে। তবে কতগুলি লাইব্রেরি কী পরিমাণ বইকেনা কাটা করবে তার উপরেই মূলত নির্ভর করতে হবে। একই কথা জানান, মেলার একটি স্টলের মালিক তথা স্থানীয় বইবিক্রেতা সন্তোষ কুমার। তিনি বলেন, “প্রথমবার এই মেলায় এসেছি। ভাল কেনাকাটা হবে বলেই আশাবাদী।” বইমেলা চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।