অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সদরের ডিএসপিকে ডেকে পুলিশ সুপার আলোচনা শুরু করতেই, চারপাশে গোল হয়ে দাঁড়ালেন অন্য পুলিশ অফিসাররা। তিন জনের আলোচনার পরে অন্য অফিসারদেরও ডেকে নিলেন পুলিশ সুপার। বেশ খানিকক্ষণ গম্ভীর আলোচনাও চললও। আলোচনা শেষে পুলিশ সুপারকে বলতে শোনা গেল, ‘‘মনে রাখবেন, ম্যাচ কিন্তু জিততেই হবে।’’ হাত নেড়ে পুলিশ সুপার দেখিয়ে দিলেন মাঠে কোথায় কোথায় ফিল্ডার থাকবে। কালো ট্র্যাক স্যুট পরা পুলিশ সুপারই রবিবার ম্যাচে পুলিশ দলের ক্যাপ্টেন। তাই দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে টিমের বাকিদের চাগিয়ে দিলেন তিনি।
রবিবার জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনের মাঠে দেখা গিয়েছে এমনই দৃশ্য। জেলার পুলিশ কর্তা-অফিসারদের দেখা গেল অন্য ভূমিকায়। দিনের শেষে অবশ্য পুলিশ দলই জিতল। জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবের সঙ্গে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিঙের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া। ১৬ ওভারের ম্যাচে সাত উইকেটে ১২৩ রান করেছিল পুলিশ দল। পরে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৭০ রানেই শেষ হয়ে যায় প্রেস ক্লাবের ইনিংস।
নিছক প্রীতি ম্যাচ হলেও, পুলিশ কর্তারা ছিলেন সিরিয়াস। প্রতি ওভারের পরে এসপি ফিল্ডিং নিয়ে আলোচনা দেখে। পরপর দুবার চার হওয়ায় ফাইন লেগ থেকে জেলার এক প্রবেশনারি আইপিএস অফিসারকে সরিয়েও দেওয়া হল ফিল্ডিং থেকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বল করবেন বলে জানালেও, যদি বেশি রান দিয়ে ফেলেন এই আশঙ্কায় তাঁকে আনা হল শেষ ওভারে। ততক্ষণে প্রেস ক্লাবের হাল খুব খারাপ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুরের বলের শ্লথগতি নিয়ে পরে রসিকতাও করলেন এসপি, ‘ভাগিস্য! ওঁর বল তো ব্যাটেই পৌঁছয় না।’’ এ দিন সকালে পুলিশ লাইনের মাঠে কর্তাদের অন্য ভূমিকায় দেখে উপভোগ করেছেন অফিসারেরাও। একজনের কথায়, ‘‘এসপি সাহেব, ডিএসপি সাহেব এত ভাল খেলেন জানতাম না। পরের ম্যাচে ওঁরাই ওপেনিং জুটি।’’