হলদিবাড়ির তরুণীর নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি

ধর্ষণের অভিযোগকারিণী হলদিবাড়ির বাসিন্দা তরুণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সোমবার পুলিশ সুপারকে চিঠি দিলেন কোচবিহার জেলা আইনি পরিষেবা সমিতির সভাপতি তথা জেলা ও দায়রা বিচারক রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও হলদিবাড়ি থানার আইসি’র কাছেও। আইনি পরিষেবা সমিতি সূত্রের খবর, তরুণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ছাড়াও বিচার প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে প্রভাবিত না হয় তা দেখার জন্যেও ওই চিঠিতে পরিষেবা সমিতির সভাপতি পুলিশ সুপারকে সতর্ক করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০২:২৯
Share:

ধর্ষণের অভিযোগকারিণী হলদিবাড়ির বাসিন্দা তরুণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সোমবার পুলিশ সুপারকে চিঠি দিলেন কোচবিহার জেলা আইনি পরিষেবা সমিতির সভাপতি তথা জেলা ও দায়রা বিচারক রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও হলদিবাড়ি থানার আইসি’র কাছেও। আইনি পরিষেবা সমিতি সূত্রের খবর, তরুণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ছাড়াও বিচার প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে প্রভাবিত না হয় তা দেখার জন্যেও ওই চিঠিতে পরিষেবা সমিতির সভাপতি পুলিশ সুপারকে সতর্ক করেছেন। এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “ওই চিঠি এখনও হাতে পাইনি। তরুণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সম্পাদক সহিদুল আলম ওরফে কমল প্রধানের বিরুদ্ধে চাকরির টোপ দিয়ে দিনের পর দিন সহবাসে বাধ্য করানোর অভিযোগ তুলে গত ১৭ অক্টোবর এক তরুণী হলদিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সপক্ষে পুলিশকে ওই তরুণী ভিডিও রেকর্ডিং জমা দেন বলেও দাবি। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। সম্প্রতি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারকে মামলা মেটানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দার্জিলিং জেলার ডিসট্রিক্ট লিগাল এড সার্ভিস অথরিটির তরফে অভিযোগ তোলা হয়। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কোচবিহারের আইনি পরিষেবা সমিতির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তকে চিঠি দেন। তার ভিত্তিতেই এদিন পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন রবীন্দ্রনাথবাবু।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সহিদুল আলম হলদিবাড়ির বাসিন্দা। তুফানগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি হলদিবাড়ি কলেজ পরিচালন সমিতিরও সদস্য হন। অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতিকে রিপোর্ট দিতে বলেছি। সহিদুলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” সহিদুল যাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন, সেই অর্ঘ্য রায়প্রধান শুধু বলেছেন, “আইন আইনের পথে চলবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন