১১ স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে

দ্বিতীয় শিক্ষা বর্ষের ক্লাস শুরুর প্রাক্কালে ১১ স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করল কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা কর্মীদের শূন্য পদেও নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পদগুলির জন্য লিখিত পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সরকার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২৫ টি স্থায়ী শিক্ষক পদ তৈরি করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৮
Share:

দ্বিতীয় শিক্ষা বর্ষের ক্লাস শুরুর প্রাক্কালে ১১ স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করল কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা কর্মীদের শূন্য পদেও নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পদগুলির জন্য লিখিত পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সরকার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২৫ টি স্থায়ী শিক্ষক পদ তৈরি করেছে। ১১ জন শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হবে। বিজ্ঞাপন দিয়ে ওই পদগুলিতে নিয়োগের কাজ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১০টি সিনিয়র ও সংরক্ষিত পদের জন্য কোনও আবেদন জমা পড়েনি। ফলে ওই পদগুলি এখনও ফাঁকা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিত্‌ রায় বলেন, “শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও চলছে। দ্বিতীয় শিক্ষা বর্ষের আগে স্থায়ী পদে নিয়োগ হওয়া আমাদের কাছে বড় পাওনা।”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ছয়টি বিষয় বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, হিন্দি, ইতিহাস ও দর্শন নিয়ে পড়াশোনা হচ্ছে। হিন্দি বিষয়ের জন্য কোনও স্থায়ী শিক্ষক পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি পাঁচটি বিষয়ের জন্য ৫ জন করে স্থায়ী শিক্ষক পদ তৈরি করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দশটি পদ সিনিয়র এবং সংরক্ষিতদের জন্য। ওই পদে আবেদন করার জন্য অন্তত ১৫ বছর কলেজে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আশা করা হচ্ছে এ বার অভিজ্ঞতাসম্পন্নরা আবেদন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভর্তি প্রক্রিয়া এখন চলছে। প্রথম শিক্ষা বর্ষে ২০০ জন ছাত্র ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। এবারে আসন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬০ টি। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৬০ জন।

Advertisement

২০১৩-র ১৩ অগস্ট পুন্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে চালু হয় কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ওই বছর বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, ইতিহাস, দর্শন, হিন্দি বিষয়ে ২০০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া হয়। ভূগোল ও হিন্দি বিষয়ে ২০ টি আসনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া হয়। বাকি চারটি বিষয়ে ৪০টি করে আসনে ভর্তি হয়। প্রতিটি বিষয়ে আসন বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, প্রতি বিষয়ে কম পক্ষে পাঁচজন করে শিক্ষক প্রয়োজন। সেদিকে তাকিয়েই সরকার শিক্ষক পদ তৈরি করেছে। সব পদে শিক্ষক না পাওয়ায় যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হবে।

অনির্দিষ্ট কাল ছুটি ঘোষণা একলব্যে নিজস্ব সংবাদদাতা মালবাজার: নাগরাকাটা একলব্য মডেল স্কুলে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে ছুটি ঘোষণা করা হল। জেলাশাসকের নির্দেশে মঙ্গলবার স্কুলে ছুটির নোটি, ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মালবাজারের ডেপুটি মেজিস্ট্রেট প্রবীণ লামা স্কুলের গেটে ঢুকতে এদিনও বাধা পান। স্কুলের পড়ুয়াদের একাংশ ছুটির নির্দেশ না মেনে স্কুলের হস্টেলই তারা থাকবে বলেও পাল্টা জানিয়ে দেয়।

এ দিন মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি জানান, গত সোমবার স্কুলের গেট বন্ধ করে ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ যেভাবে প্রতিবাদে সরব হয় তাতে জেলা প্রশাসনের তরফে স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত না নিয়ে আর কোনও রকম উপায় ছিল না।

গত মার্চ মাস থেকে স্কুলের অধ্যক্ষ অমরজিত সিংহ চহ্বানের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের মারধর, গালি দেওয়ার মত অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে আন্দোলন শুরু করে অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের একাংশ। গত ১৮ মার্চ অধ্যক্ষকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। এর পর গত স্কুলে একটি বৈঠকে ডাকে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। ছাত্র এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদেরও সেই বৈঠকে থাকার কথাও ছিল। কিন্তু ফের অধ্যক্ষ আসছেন শুনেই গেট বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা অবধি লাগাতার বিক্ষোভ দেখায় তার। এর পরই স্কুল বন্ধের বিষয়ে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় জেলা প্রশাসন।

এ দিকে একলব্য বাঁচাও কমিটির সম্পাদক প্রবীণ খেড়োয়ারের দাবি, “অধ্যক্ষ আসছে জানতে পারার পরে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ অশান্ত হয়ে ওঠে। প্রশাসনের অধ্যক্ষ বদলের দাবি তাই মেনে নেওয়া উচিত।” পক্ষান্তরে, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের অন্য একটা অংশ দাবি করেছেন, ওই অধ্যক্ষকে রাখলেই স্কুলের পড়াশোনার মান আরও বাড়বে। তাঁদের যুক্তি, ওই অধ্যক্ষের আমলেই স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল আগের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন