৩০ কেজির সোনার গয়নায় সাজল বোল্লাকালী প্রতিমা

সারা রাত গ্রাম মেতে থাকল ঐতিহ্যবাহী বোল্লাকালী পুজোয়। প্রায় ৩০ কেজি ওজনের সোনার গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে দেবী প্রতিমা। পুজো ঘিরে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়েছে প্রশাসন। প্রতিবার মেলায় যোগ দিতে সকাল থেকে দলে দলে মানুষ ভিড় করেন মেলা প্রাঙ্গণে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৩৬
Share:

সালঙ্কারা প্রতিমা। (ডান দিকে) মেলায় ভিড় দর্শনার্থীদের। —নিজস্ব চিত্র।

সারা রাত গ্রাম মেতে থাকল ঐতিহ্যবাহী বোল্লাকালী পুজোয়। প্রায় ৩০ কেজি ওজনের সোনার গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে দেবী প্রতিমা। পুজো ঘিরে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়েছে প্রশাসন। প্রতিবার মেলায় যোগ দিতে সকাল থেকে দলে দলে মানুষ ভিড় করেন মেলা প্রাঙ্গণে। ফলে শুক্রবার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দর্শনার্থীদের বোল্লা গ্রামে পৌঁছে দিতে সারা রাত সরকারি ও বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্রেকার, অটো চালানো হয়।

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সদর বালুরঘাট থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে বোল্লা গ্রামের মন্দিরে শুক্রবার গভীর রাতে সাড়ে সাত হাত দীর্ঘ রক্ষাকালী মূর্তির পুজো দিয়ে শুরু হয় তিন দিনের মেলা। দর্শনার্থীদের চাহিদা মেনে রেল কর্তৃপক্ষও বালুরঘাট স্টেশন থেকে বোল্লা গ্রামের কাছে বিকোচ এলাকায় ট্রেনের স্টপেজ চালু করেছেন। মন্দির কমিটি জানাচ্ছেন, পুজোর রাতেই বোল্লাকালী পুজো দেখতে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ জড়ো হন। চিনির বড় কদমা ও খাজা-বাতাসার মানতের ঢল নামে মন্দিরে। মূল কালীমূর্তির সঙ্গে মন্দির প্রাঙ্গণ লাগোয়া আটচালায় মানতের আরও শতাধিক ছোট কালী মূর্তি পুজো দেন ভক্তেরা। সোনা রুপোর অলংকার নিয়ে মানতের পুজো দিতে লম্বা লাইন হয়। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপরে এ বারে বিশেষ জোর দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

কথিত আছে, একদা ওই এলাকায় পর পর ডাকাতের অত্যাচার থেকে বোল্লাকালী রুদ্রমূর্তি ধারণ করে বাসিন্দাদের রক্ষা করেন। পুরনো আমল থেকেই বোল্লা মা তাই মানুষের কাছে রক্ষাকালী বলে পূজিত হচ্ছেন।

Advertisement

মেলার তিন দিন এলাকা জুড়ে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার শীশরাম ঝাঝারিয়া জানান, মেলার তিন দিন ৬০ জন অফিসার সমেত মোট ৫০০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ৪০০ জন। মন্দির চত্বরে রয়েছে দু’টি মেটাল ডিটেক্টর। সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে ৮টি। বালুরঘাট-গঙ্গারামপুর দুদিকের মূল রাজ্য সড়ক থেকে দক্ষিণে বোল্লা গ্রামের মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির কমিটি ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে দর্শনার্থীদের পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন