ভিন্‌ ধর্মের যুগলের পাশেই এখন রাজ্য

ভিন্‌ ধর্মে বিয়ের জেরে তাঁদের উপরে চাপ তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই যুগল। অভিযোগ, তখন দু’জনকে ভিন্‌ রাজ্যে চলে যেতে বলেছিল হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। শুক্রবার আনন্দবাজারে খবর বেরোনোর পরে তৎপরতা দেখা যায় প্রশাসনের উঁচুতলায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০৫:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঘরে ফেরা এখনই হচ্ছে না, তবে প্রশাসনের আশ্বাসটুকু অন্তত আদায় করলেন সদ্যবিবাহিত দম্পতি সাবরিনা খাতুন এবং কৌশিক দাস।

Advertisement

ভিন্‌ ধর্মে বিয়ের জেরে তাঁদের উপরে চাপ তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই যুগল। অভিযোগ, তখন দু’জনকে ভিন্‌ রাজ্যে চলে যেতে বলেছিল হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ। শুক্রবার আনন্দবাজারে খবর বেরোনোর পরে তৎপরতা দেখা যায় প্রশাসনের উঁচুতলায়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে দম্পতির কিছু বন্ধুও মাঠে নেমেছিলেন। মন্ত্রী শশী পাঁজার সঙ্গে দেখা করানোর পরে তাঁরা কৌশিক-সাবরিনাকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অফিসেও নিয়ে যান। এর পরেই এই দম্পতিকে আশ্বস্ত করতে বলে হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিস সেনের কাছে নির্দেশ গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কামনাশিসবাবু পরে বলেন, ‘‘জাঙ্গিপাড়ার ওসি-কে স্পষ্ট বলেছি, ওঁদের যেন এতটুকু অসুবিধে না হয়।’’ এই আশ্বাস পেয়ে শুক্রবার কৌশিক তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যান।

তবে কৌশিকরা শুক্রবার রাতেও আঁটপুরের পৈতৃক বাড়িতে থাকেননি। কৌশিকের কথায়, ‘‘নতুন চাকরি খোঁজাই এখন লক্ষ্য। হয়তো অন্য কোথাও আমাদের থাকতে হবে!’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন