দীর্ঘ টানাপড়েনের পরেও প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত ও প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের নিয়ে জট পুরোপুরি কাটেনি। এই অবস্থায় শিক্ষক বাছাইয়ের পরবর্তী পরীক্ষা (টেট)-য় প্রশিক্ষণহীনদের বসার ব্যবস্থাই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ বার শুধু প্রশিক্ষিত প্রার্থীরাই টেট দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
প্রশিক্ষণহীনদেরও টেট-এ বসতে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ওই প্রার্থীদের যে প্রাথমিকে নিয়োগ করা যাবে না, সেটা ২০১৪-তেই জানিয়ে দিয়েছিল তারা। অনেক আবেদন-নিবেদনের পরে ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৫-র টেট-এ প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের বসার বন্দোবস্ত হয়েছিল। স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এখন প্রাথমিকে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। পরবর্তী টেট-এ বসতে হলে শুধু প্রশিক্ষিত হলেই চলবে না, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের নিয়ম মেনে উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
আরও পড়ুন:বিপণনেও মোহ বাড়ছে সেলফি-র
পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য জানান, সরকারের নির্দেশ পেলেই তাঁরা নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞাপন দেবেন। এর আগে কর্মরত প্রশিক্ষণহীনদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়সীমা ২০১৯ পর্যন্ত করার কথা জানিয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।