Unnatural death

স্ত্রীকে খুন, সল্টলেকে আত্মহত্যারও চেষ্টা প্রাক্তন সেনা-চিকিৎসকের, মিলল দুই ভাষায় লেখা সুইসাইড নোট

সল্টলেকে বৃদ্ধ দম্পতি থাকতেন তিন নম্বর সেক্টরে। সকালে সেই বাড়ি থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধা মন্দিরা মিত্রের দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে যদুনাথকেও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ ১০:৩১
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

সল্টলেকে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাশ থেকে উদ্ধার স্বামী। জানা গিয়েছে, পেশায় চিকিৎসক যদুনাথ মিত্র তাঁর স্ত্রী মন্দিরাকে নিয়ে সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরের জিসি ব্লকে থাকতেন। বুধবার সত্তরোর্ধ্ব মন্দিরার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। পাশেই মেলে একটি রক্তমাখা ছুরি। বাড়ি থেকে যদুনাথকেও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যদুনাথকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, যদুনাথ স্ত্রীকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। মানসিক অবসাদের কারণেই কি এমনটা করতে গিয়েছিলেন যদুনাথ? প্রশ্ন উঠছে। তবে তদন্তে কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে যদুনাথ, মন্দিরাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গেও।

সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরের জিসি ৩০ নম্বর বাড়িতে থাকতেন চিকিৎসক যদুনাথ। বুধবার সকালে পরিচারিকা বাড়িতে ঢুকে দেখতে পান, শৌচাগারে পড়ে রয়েছে মন্দিরার রক্তাক্ত দেহ। ডাইনিং রুমে পড়ে আছেন যদুনাথ। পরিচারিকার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। বিধাননগর কমিশনারেটের প্রধান গৌরব শর্মাও হাজির হন জিসি ৩০ নম্বর বাড়িতে। প্রাথমিক অনুসন্ধান সেরে কমিশনার গৌরব বলেন, ‘‘ওই বাড়ির দোতলায় সেনার অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক যদুনাথ মিত্র স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। যদুনাথের বয়স আনুমানিক ৮৪ বছর। নীচের তলা ভাড়া দেওয়া। দোতলার শৌচাগার থেকে স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে, মহিলাকে খুন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডাইনিং টেবিলের কাছ থেকে যদুনাথকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এখনও বেঁচে আছেন। তবে সংজ্ঞাহীন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার পর সেখান থেকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা ঘটনাস্থল সিল করে দিয়েছি। ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। দেহের ময়নাতদন্ত হবে। অকুস্থল থেকে আমরা একটি ‘সুইসাইড নোট’ পেয়েছি। তাতে চার লাইন বাংলায় লেখা আছে। বাকিটা ইংরেজিতে। বাংলায় লেখা আছে যে, তিনি নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, তিনি স্ত্রীকে মেরে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন