Kolkata Crime

সল্টলেকে পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে খুন! উদ্ধার পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ, গ্রেফতার এক

সল্টলেকের জিডি ব্লকে পিকে-র বাড়িতে তাঁর অবর্তমানে এখন তাঁর মেয়েরা থাকেন। সেখান থেকেই শনিবার সকালে এক পরিচারকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১১:১৫
Share:

সল্টলেকে প্রাক্তন ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে এক পরিচারকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

সল্টলেকে প্রাক্তন ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে খুন। উদ্ধার করা হল পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ। শনিবার এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনিও ওই বাড়িতে কাজ করতেন। ছিলেন বাড়ির গাড়ির চালক। পুলিশ সূত্রে খবর, পিকে-র বাড়িতে পাঁচ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিচারকদের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই থেকেই বচসা শুরু হয়। যার পরিণতি এই হত্যাকাণ্ড।

Advertisement

সল্টলেকের জিডি ব্লকে পিকে-র বাড়িতে তাঁর অবর্তমানে এখন তাঁর মেয়েরা থাকেন। সূত্রের খবর, সেখানেই দুই পরিচারকের মধ্যে বচসা হয়। এক জন অপরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। নিহতের নাম গোপীনাথ মাহুরি। খবর পেয়ে শনিবার সকালে সেখানে যান বিধাননগর দক্ষিণ থানার আধিকারিকেরা। নিহতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান তাঁরা। অভিযুক্ত চালক বরুণ ঘোষকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। শনিবারই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।

পুলিশ জানতে পেরেছে, পিকের বাড়িতে চালক-সহ মোট পাঁচ জন পরিচারক। রাতে পাঁচ হাজার টাকার জন্য বরুণকে দোষারোপ করেছিলেন গোপীনাথ। তিনিই রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসেছিলেন। পরে সেই ছুরি দিয়ে গোপীনাথকেই কোপান বরুণ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। ঘটনার সময়ে পিকে-র বাড়ির সদস্যেরা কোথায় ছিলেন, তাঁরা গোলমালের শব্দ পেয়েছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বাড়ির বাইরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন পিকে। পরে ওই দলের কোচ হিসাবেও নিযুক্ত হয়েছিলেন। জাতীয় দলের জার্সিতে ৫২টি ম্যাচ খেলে ১৬টি গোল রয়েছে তাঁর নামে। অর্জুন পুরস্কার, পদ্মশ্রী-সহ একাধিক সম্মান লাভ করেছিলেন পিকে। ২০২০ সালের ২০ মার্চ কলকাতার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement