শ্রীনু খুনে ধৃত সুপারি কিলার

এ বার শ্রীনু নায়ডু খুনের ঘটনায় এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত রাজু সিংহ ওরফে বাপি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলার বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৯
Share:

এ বার শ্রীনু নায়ডু খুনের ঘটনায় এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত রাজু সিংহ ওরফে বাপি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে মহেশতলা থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে শ্রীনু খুনের মামলায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে যারা ধরা পড়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রাজুর নাম সামনে আসে। জানা যায় এই অভিযুক্ত মহেশতলার বাসিন্দা। তারপর পুলিশের একটি দল সেখানে হানা দেয়। রাজুকে কে বা কারা সুপারি দিয়েছিল? পুলিশের এক সূত্রে দাবি, শ্রীনুকে খুনের জন্য রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করে সঞ্জয় প্রসাদ ও কৃষ্ণা রাও। তারা রাজুকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়া করে আনে। শ্রীনু উপর হামলাকারী দলে সঞ্জয় ও কৃষ্ণার সঙ্গেই ছিল রাজু। সঞ্জয় ও কৃষ্ণাকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মহেশতলার ওই সুপারি কিলারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ‘অপারেশন শ্রীনু’ সফল হলে সঙ্গে সঙ্গেই তার হাতে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। শ্রীনু খুনের পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর খড়্গপুর থেকে রাজু পালালেও টাকা আর পায়নি।

Advertisement

শুক্রবার রাজুকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে ধৃতের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। এ দিন বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমর নায়েকও আদালতে জানিয়ে দেন, মহেশতলার বাসিন্দা রাজু সুপারি কিলার। দেড় লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে খড়্গপুরে ভাড়া করে আনা হয়েছিল। কেন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হয়নি? জেলা পুলিশের এক সূত্রের দাবি, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। তবে তার আগে ধৃতের টিআই প্যারেড করানো হবে। এ দিন আদালতে রাজুর টিআই প্যারেডের আবেদনও জানায় পুলিশ। ওই সূত্রের দাবি, ধৃত টিআই প্যারেডে চিহ্নিত হয়ে গেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে পুলিশ।

গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে আততায়ীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। শ্রীনুর স্ত্রী পূজা এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর। দুষ্কৃতী হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর ‘ডান-হাত’ বলে পরিচিত ধর্মা রাও-ও। জখম হয় আরও তিনজন। শ্রীনু খুনের মূলচক্রী শঙ্কর রাও-সহ ১১ জন আগেই গ্রেফতার হয়েছে। এ দিন রাজু ধরা পড়ায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। তবে এখনও বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে খড়্গপুরের পাশাপাশি ভিন্ রাজ্যেও তল্লাশি চলছে বলে পুলিশের এক সূত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন