মমতার বিরোধিতাই প্রিয় বিষয় সিদ্ধার্থের

সিদ্ধার্থের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে কয়েক বার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করেছেন। কিন্তু এক হাজার কোটি টাকার লগ্নিও আনতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০৩:২০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

এক সময় তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি-র তরফে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত। এখন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী। তবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করাই তাঁর ‘প্রিয় বিষয়’, শনিবার কলকাতায় দলের রাজ্য দফতরে বসে তা কবুল করলেন সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। তাঁর কথা, ‘‘কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এই রাজ্য থেকে আমার উত্থান। এবং এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতাই আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাফল্য প্রচার করতে রাজ্যে এসেছেন সিদ্ধার্থ। তারই অবসরে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বার বার নানা প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন তিনি।

Advertisement

সিদ্ধার্থের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে কয়েক বার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করেছেন। কিন্তু এক হাজার কোটি টাকার লগ্নিও আনতে পারেননি। বিজেপি নেতার কটাক্ষ, ‘‘মমতা সংবাদপত্রের শিরোনাম তৈরি করতে পারেন! কিন্তু লগ্নি আনতে পারেন না!’’ উত্তরপ্রদেশে বেআইনি কসাইখানা বন্ধের প্রসঙ্গেও মমতাকে কাঠগড়ায় তুলে সিদ্ধার্থ। তাঁর দাবি, উত্তরপ্রদেশে শুধু বেআইনি কসাইখানাগুলি বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, রমজান মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হচ্ছে, এটা অর্থহীন। সিদ্ধার্থের কথায়, ‘‘কসাইখানা বন্ধ করা বা না করা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে মমতাজি নিজের মতো আইন করতেই পারেন। কিন্তু বিষয়টিতে রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িকতার রং লাগাবেন না।’’ সিদ্ধার্থের দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ফল খারাপ হবে এবং ২০২১-এ মমতা গদিচ্যুত হবেন।

সিদ্ধার্থের সমালোচনার জবাবে তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘যাঁরা এমন কথা বলেন, তাঁদের মানসিক স্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ইচ্ছে করে। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে কী হচ্ছে, সারা দেশ জানে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ওঁর কাছ থেকে শিখব না। ওঁর মতো লোক কী বললেন, তাতে বাংলার রাজনীতি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু যায় আসে না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন