এ বারের ম্যাসকট ‘ভোট্টু’।
লোকসভা ভোটের আগে মাঠে, ঘাটে উড়ে বেড়াবে ‘লক্ষ্মী পেঁচা’। পূর্ব বর্ধমান জেলার লোকসভা ভোটের ম্যাসকট সে-ই।
কাঠের পেঁচার দু’পাশে রয়েছে ধানের শিস, ঘাস। নাম অবশ্য ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের মতোই ‘ভোট্টু’। জেলা প্রশাসনের দাবি, নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার বার্তা নিয়েই জেলার বিভিন্ন শহর, গ্রামে ঘুরবে এই পেঁচা।
ভোটদানে উৎসাহ বাড়াতে একটি ভিডিয়ো তৈরি করছে জেলা প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখা যাবে তা। কন্যাশ্রীদের ভোটের প্রচারে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সঙ্গে পথনাটিকা, পুতুল নাচ, বাউল, ছো শিল্পীদেরও ব্যবহার করা হবে ভোটের প্রচারের নানা কাজে। জেলা প্রশাসনের দাবি, ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গেলেই ‘ভোট্টু’কে মাঠে নামানো হবে। তথ্যচিত্র, অ্যানিমেশন, পোস্টার, ফ্লেক্স, সর্বত্রই ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রচারে আগে থাকবে ‘ভোট্টু’। জীবন্ত মডেল হয়েও রাস্তায় বেরিয়ে ‘ভোট্টু’ ভোট দেওয়ার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানাবে।
বিধানসভা নির্বাচনে সাবেক বর্ধমানে গ্রামীণ ও শিল্পাঞ্চলের ম্যাসকট ছিল বাঘ। এ বার অবশ্য গ্রামবাংলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ম্যাসকট খুঁজেছে জেলা প্রশাসন। এক আধিকারিকের কথায়, “আমাদের কৃষি প্রধান জেলা। কৃষির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ম্যাসকট খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। তখনই লক্ষ্মী পেঁচার কথা মাথায় আসে। জেলাশাসককে পরিকল্পনা জানালে তিনি তাতে সিলমোহর দেন।’’ জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “আশা করছি ভোট্টুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সবাই নির্ভয়ে ভোট দিতে বুথে যাবেন।’’ প্রশাসনের দাবি, লক্ষ্মী পেঁচা এখন লুপ্তপ্রায়। এই ম্যাসকট ভোট দানে আগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি পেঁচা নিয়েও উৎসাহী করবে নতুন প্রজন্মকে।