এক মাসে দু’বার দলবদল পরিমলের

বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরে ফেরার কথা জানিয়ে পরিমলের অভিযোগ, গত ১ জুলাই সাঁওতালডিহি থেকে তাঁকে অপহরণ করেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০৫:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

জিতেছিলেন বিজেপির টিকিটে। মাঝে গিয়েছিলেন তৃণমূলে। আবার ফেরত এলেন বিজেপিতে! বোর্ড গঠনের আগেই দলবদলের ঘূর্ণিপাকে চর্চায় উঠে এলেন পুরুলিয়ার পারা সমিতির সদস্য পরিমল মাহাতো।

Advertisement

বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরে ফেরার কথা জানিয়ে পরিমলের অভিযোগ, গত ১ জুলাই সাঁওতালডিহি থেকে তাঁকে অপহরণ করেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এক রাত হোটেলে রাখার পরে ২ তারিখ তাঁকে জেলায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর উপস্থিতিতে তাঁকে তৃণমূলে যোগ দিতে ‘বাধ্য’ করা হয়। যদিও শান্তিরামবাবুর দাবি, ‘‘পরিমল স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি হুমকি দিচ্ছে বলেই বাধ্য হয়ে পরিমল ফের বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

পরিমল অবশ্য এ দিন বলেন, ‘‘আমাকে পুরুলিয়া থেকে কলকাতার কাছে একটি হোটেলে নিয়ে এসে আটকে রাখা হয়েছিল। শনিবার সুযোগ বুঝে পালাই এবং বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’’ পারা পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি জিতেছিল ১৬টি আসনে। তৃণমূল ১২টি। সিপিএম পেয়েছিল একটি আসন। অভিযোগ, পরিমল-সহ দু’জনকে বিজেপি থেকে ভাঙাতে পেরেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরিমল বিজেপিতে ফিরে আসায় একটি আসনে এগিয়ে গেল বিজেপি। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, পরিমল বরাবরই ‘বিতর্কিত’। তাঁর বারংবার দলবদলের পিছনে স্বার্থ রয়েছে বলেও কারও কারও অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement