কর নিয়ে আতঙ্ক, কেন্দ্রকে দুষলেন অমিত

দেশের কর ব্যবস্থায় কেন্দ্র ফের আতঙ্কের পরিবেশ কায়েম করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাজেট বিতর্কের জবাবি বক্তৃতায় তিনি বলেন, আয়কর আইনের ১৩২ নম্বর ধারায় সংশোধনী এনেছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩০
Share:

দেশের কর ব্যবস্থায় কেন্দ্র ফের আতঙ্কের পরিবেশ কায়েম করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাজেট বিতর্কের জবাবি বক্তৃতায় তিনি বলেন, আয়কর আইনের ১৩২ নম্বর ধারায় সংশোধনী এনেছে কেন্দ্র। এর ফলে কোথাও তল্লাশি চালানোর জন্য আয়কর আধিকারিকেরা কাউকে, এমনকী আদালতকেও কোনও রকম কারণ দেখাতে বাধ্য থাকবেন না। অমিতবাবুর মতে, এই ব্যবস্থা চালু হলে আয়কর বিভাগ যখন তখন যে কোনও প্রতিষ্ঠানে বা কারও বাড়িতে হানা দিয়ে হেনস্থা করতে পারবে। এবং এর ফলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হবে।

Advertisement

পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) আদায়ের ক্ষেত্রেও গ্রেফতারির ধারা যুক্ত করে কেন্দ্র আতঙ্করাজ তৈরি করতে চাইছে বলে এ দিন অভিযোগ করেন অমিতবাবু। তাঁর আক্ষেপ, তিনি এই ধারা ঠেকাতে চাইলেও অধিকাংশ রাজ্য তাতে সায় দেয়নি। অর্থমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এখন কোনও করদাতাকে গ্রেফতারের করার ক্ষমতা ভ্যাট অফিসারদের নেই। কিন্তু জিএসটি আইনে তাঁদের সেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। দু’কোটি টাকা পর্যন্ত কারবারে গ্রেফতারি হবে না। ২ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত কারবারে গ্রেফতারি হতে পারে। আর ৫ কোটির উপর কারবারে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারির কথা বলা হয়েছে।’’ অর্থমন্ত্রীর মতে, আয়কর এবং জিএসটি আইনে যে ভাবে অফিসারদের তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে, তাতে দেশে ফের ইন্সপেক্টর রাজ কায়েম হবে। অথচ করদাতাদের হেনস্থা করা হয়নি বলেই রাজ্যে কর আদায় বেড়েছে।

বক্তৃতায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচারও জবাব দেন অমিতবাবু। বাজেট বিতর্কে দিলীপবাবু বলেছিলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর টাকায় বাজেট করেছেন দিদির সরকার। রাজ্যের আয়ের ১ লক্ষ ৩৯ হাজার কোটির মধ্যে ৭৮ হাজার কোটিই এসেছে দিল্লি থেকে।’’ অমিতবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্র দয়া করে প্রাপ্য করের অংশ বা অনুদান পাঠাচ্ছে না। রাজ্য থেকে যে কর আদায় হচ্ছে, সাংবিধান মেনেই তা রাজ্যে ফেরানো হচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন